সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানের দায়িত্বে থাকা সেনার এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, সমগ্র কাশ্মীরই যে সন্ত্রাসের আগুনে জ্বলছে, এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। কাশ্মীরের সমস্ত নাগরিকই জঙ্গি, এই ধারনাও একেবারেই ঠিক নয়। বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। গোয়েন্দা সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাশ্মীরে মাত্র ২৫০-৩০০ জঙ্গি রয়েছে। এরসঙ্গে জঙ্গিদের হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করা লোকজনদের ধরলেও সংখ্যাটা সেরকম কিছুই না। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি। আবার সমগ্র কাশ্মীর নয়, একমাত্র দক্ষিণ কাশ্মীরের কয়েকটি জায়গা রয়েছে, যেখানে জঙ্গিরা সক্রিয়। বাকি এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ ততটা বিপজ্জনক নয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল, অনন্তনাগ, কুলগাম ও সোপিয়ানের মতো এলাকায় জঙ্গি উপদ্রব একটা সমস্যা। উপত্যকার বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ খোলা। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনার কাজ হচ্ছে। এছাড়াও সেনার আর্মি গুডউইল স্কুলগুলিতেও প্রচুর সংখ্যায় স্থানীয় পড়ুয়ারা পড়শোনা করে।
2/6
কয়েকটি ছবিতে শিশুদের হাতে কাঠ দিয়ে তৈরি একে-৪৭ বন্ধুক রয়েছে। এই কাঠের খেলনা বন্দুকে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির সমর্থনে স্লোগান লেখা রয়েছে। এই ছবিগুলিতে কয়েকটি বালিকাকেও যোদ্ধার মতো দেখানো হয়েছে।
3/6
ছবিগুলিতে যেসব লেখাজোখা রয়েছে তার মাধ্যমে জঙ্গিরা বার্তা দিতে চাইছে যে, শিশুদের হাতে বই নয়, বন্দুক তুলে দেওয়া হবে। এই ছবিগুলির মাধ্যমে কাশ্মীরে জঙ্গিরা তালিবানি চিন্তাধারা ছড়াতে চায়।একটি ছবির ওপরে লেখা, ‘কাশ্মীরে তালিবান আনো, এটাই আমাদের ভবিষ্যত’।
4/6
সূত্রের খবর, এই ছবিগুলি কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরমাধ্যমে জঙ্গিরা দেখাতে চাইছে যে, পুরো উপত্যকাতেই সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এই সন্ত্রাসবাদকে শিশুরাও ‘সমর্থন’ করে, এমন একটা ধারনা তৈরি করতে চাইছে জঙ্গিরা।
5/6
গোয়েন্দা সংস্থাগুলির এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এখন নিরাপত্তা বাহিনীদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি তাদের হিংসাত্মক চিন্তাধারা শিশুমনেও চারিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, শিশুরা যাতে ছোট থেকেই অস্ত্র রাখতে শেখে এবং এই ধরনের ছবি দেখে বড় হয়।
6/6
এই ছবি ইরাক, সিরিয়া বা পাকিস্তানের নয়, ভারতের। কাশ্মীরের এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীরে জঙ্গিরা এখন শিশুদের মগজধোলাই করার চেষ্টা করছে। তাদের সন্ত্রাসবাদী নাশকতার কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। শিশুদের হাতে একে-৪৭ রাইফেল তুলে দিয়ে জঙ্গিরা তাদের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া বা হোয়াটস্যাপ গ্রুপে শেয়ার করছে।