Goddess Manasa: মনসা পুজোয় কী করলে জাগ্রত হয় কণ্ডুলিনী? বদলে যায় ভাগ্য
Manasa Puja: প্রাচীনকাল থেকে গ্রামগঞ্জে পূজিত হয়ে আসছেন দেবাদিদেব মহাদেবের মানস কন্যা মা মনসা। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে সতী হিসেবে পূজিত হন সত্যবানের স্ত্রী সাবিত্রীও।
শিবের মানস কন্যা মা মনসা ও অষ্টনাগের পুজো শুরু হয়েছে আজ থেকে। সেই উপলক্ষে বাংলার গ্রামে গঞ্জে মানুষ তাঁকে স্মরণ করে নানা বিধি নিষেধ পালন করছেন। আসুন জেনেনি কী কী করলে প্রসন্ন হন তিনি।
পুরাণ মতে, মা মনসা হলে শিবের মানস কন্যা ও নাগরাজ বাসুকীর বোন। সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করে আজকের দিন থেকে মা মানসা পুজোর শুরু করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস, মা মনসা যাঁর উপর সদয় হন তাঁর সব ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই অনেকে এনাকে ইচ্ছা পূরণের দেবী বলেও উল্লেখ করেন। মা মনসার সঙ্গে পুজো করা হয় তাঁর মাথার ওপর শোভা পাওয়া অষ্টনাগেরও। অষ্টনাগকে অনেকে অষ্টপাশও বলে থাকেন। যাঁরা ভক্তি ভরে মা মানসার পুজো করেন তিনি সর্বদা সুখী থাকেন। আর অষ্টনাগের পুজো মানুষকে অষ্টপাশ নামক নানান বাধা ও বিপত্তি থেকে রক্ষা করে আশীর্বাদ দেন।
দশহরার পর থেকে প্রথা মেনে শুরু হয়েছে মা মনসার আরাধনা, নাগপঞ্চমী পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ তিথিতে তাঁর আরাধনা হবে। শাস্ত্র মতে মা মনসার সঙ্গে থাকা সাপকে কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই এর আরাধনা করলে জাগ্রত হয় আমাদের কুণ্ডলীনি শক্তি। মা মনসার সঙ্গে থাকা অষ্টনাগের পুজো করলে জীবন যে অষ্টপাশে জর্জরিত হয়ে রয়েছে তা থেকেও মেলে মুক্তি। গ্রামের লোকেরা আজও বিশ্বাস করেন মা মনসার পুজো করলে সাপের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই প্রাচীনকাল থেকে আজও নানান নিয়ম-কানুন মেয়ে মা মনসার পুজোর পর একমনে তাঁর ধ্যান করলে কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত করতে সাহায্য পাওয়া যায় বলেই ধর্মীয় বিশ্বাস।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।