Jagannath temple Ratna Bhandar : সাপ পেঁচিয়ে রেখেছিল ঈশ্বরের অমূল্যরতন? রত্নভাণ্ডার থেকে বেরিয়ে জানালেন বিচারপতি
Jagannath temple Ratna Bhandar : জল্পনা ছিল, রত্নভাণ্ডারকে ঘিরে রয়েছে মহাবিষধর সর্প। রত্নভাণ্ডারের দিকে তাকালেও চোখ যাবে ঝলসে। অবশেষে ৪৬ বছর পর খুলল দরজা।
নয়া দিল্লি : পুরীর জগন্নাথ ধামের রত্ন ভাণ্ডার । কী রয়েছে তাতে, সারা ভআরতের নজর ছিল সেই দিকেই। আদৌ কি খোলা যাবে রত্নভাণ্ডার, সন্দেহ ছিল অনেকেরই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরজা খুলল নীলমাধবের রত্নভাণ্ডারের। এই ভাণ্ডারকে নীলাচলের প্রভুর কোষাগারও বলা হয়। রবিবার অবশেষে খুলল দরজা। দশকের পর দশক রুদ্ধদ্বার থাকার পর আভ্যন্তরীণ কোষাগার এবং বাইরের কোষাগার, কী কী মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে দুয়ার খোলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু জল্পনায় ইতিচিহ্ন পড়ল। যেমন, রত্নভাণ্ডারকে ঘিরে রয়েছে মহাবিষধর সর্প। রত্নভাণ্ডারের দিকে তাকালেও চোখ যাবে ঝলসে। অবশেষে ৪৬ বছর পর খুলল দরজা।
মন্দির চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। জগন্নাথদেবের দুর্মূল্য রত্নরাজি পাহারা দেয় সাপেরা, এই কিংবদন্তির কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্বরে মোতায়েন করা হয় সাপ বিশেষজ্ঞদের। কী কী আছে রত্ন ভাণ্ডারে? দরজা খুললেও কাটল কি রহস্য ?
ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ, কোষাগারের অন্দরমহল ঘুরে এসে দিলেন চমকপ্রদ তথ্য। সংবাদ সংস্থা আইএএন এনেছে। বহু দিন বন্ধ পড়ে ছিল রত্নভাণ্ডার। তাই ভেতরে বাসা করে থাকতে পারে সরীসৃপের দল, ভয় ছিল। সেই সঙ্গে কোষাগার ঘিরে তো অজস্র কিংবদন্তি ছিলই। তাই রীতিমতো সর্প বিশারদদের নিয়ে প্রবেশ করলেছিল ১১ জনের দল।
বিচারপতি রথ জানালেন, যেহেতু মন্দির পরিচালনার সঙ্গে সাত থেকে আট জন ব্যস্ত ছিলেন বহুদা যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে, তাই রত্নভাণ্ডারের অলঙ্কারগুলি গোনা যায়নি। পরীক্ষা করে দেখা যায়নি। সেগুলি স্থানান্তরের জন্য বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই আমরা দেবতাদের অলঙ্কার এবং মূল্যবান পাথর স্থানান্তরের জন্য আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী বলেন, বাইরের কোষাগারে সঞ্চিত গহনাগুলি 'মন্দির চত্বরের অভ্যন্তরে একটি অস্থায়ী স্ট্রংরুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেটি সিল করা হয়। তিনি আরও বলেন, পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে রাখা চাবিগুলি দিয়েই তালা খোলা হয়েছিল।
১৯৭৮ সালে শেষবার অডিট হয়েছিল রত্ন ভাণ্ডারের। ২০১৮ সালে একবার রত্ন ভাণ্ডার খোলার চেষ্টা করা হয়। ১৬ জনের দল ঢোকার চেষ্টা করেন ভিতর ভাণ্ডারে। কিন্তু কোনও কারণে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্য়েই সেই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্ষমতায় এসে ফরে রত্ন ভাণ্ডারের অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওড়িশার বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন :
খামখেয়ালি বর্ষা ! তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার সময় 'পয়মন্ত' বৃষ্টি হবে তো?