Science News:পৃথিবী থেকে খালি চোখেই দেখা যাবে এই মহাজাগতিক বস্তুকে, জানেন কে সে?
Comet Tsuchinshan ATLAS:মোটে কয়েক মাসের অপেক্ষা। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস, 'তুকিনশান-অ্যাটলাস' নামে একটি ধুমকেতু যে গতিতে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে অক্টোবরেই তাকে খালি চোখে দেখতে পারবেন পৃথিবীবাসী।
কলকাতা: মহাকাশ নিয়ে উৎসাহীদের জন্য দারুণ খবর! ধুমকেতু-দর্শন হতে পারে খালি চোখেই। মোটে কয়েক মাসের অপেক্ষা। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস, 'তুকিনশান-অ্যাটলাস' ( Comet Tsuchinshan ATLAS) নামে একটি ধুমকেতু যে গতিতে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে অক্টোবরেই তাকে খালি চোখে দেখতে পারবেন পৃথিবীবাসী।
বিশদ...
'তুকিনশান-অ্যাটলাস'-র আর একটি পরিচয় 'C/2023 A3'। এই মুহূর্তে মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে রয়েছে সে। এখন তাকে দেখতে হলে শক্তিশালী টেলিস্কোপ প্রয়োজন। তবে তাকে নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যে পূর্বাভাস, তা মিলে গেলে সে-ই হতে চলে 'কমেট অফ দ্য ইয়ার।' আপাতত বিজ্ঞানীরা সেই রকম পূর্বাভাসই দিচ্ছেন। আর কী জানা গেল? জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, রাতের আকাশে শুক্রের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে 'তুকিনশান-অ্যাটলাস'। আমাদের সৌর-পরিবারের 'Oort Cloud' অংশ থেকে এর উৎপত্তি, আরও দাবি বিজ্ঞানীদের। এটিই লক্ষ লক্ষ ধূমকেতুর আঁতুরঘর, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
আর যা...
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে, ধূমকেতুটি দক্ষিণ আফ্রিকার 'Asteroid Terrestrial-impact Last Alert System' টেলিস্কোপ এবং চিনের তুকিনশান অবর্জাভেটরি যৌথভাবে আবিষ্কার করে। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর সূর্যের সবথেকে কাছাকাছি থাকবে এই ধূমকেতু। সেই সময়ই পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে তাকে দেখা যাবে। তবে দক্ষিণ গোলার্ধের বাসিন্দাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সূর্যাস্তের একটু পরই সেখান থেকেও ধূমকেতুটি দেখতে পাবেন দক্ষিণ গোলার্ধের বাসিন্দারা। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে তার ঔজ্জ্বল্য কমতে শুরু করবে। আপাতত যতটুকু নজরে এসেছে, তাতে ধূমকেতুটির নিউক্লিয়াস বোঝা যাচ্ছে। তবে তার 'tail' অংশটির আকারে পরিবর্তনশীল। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, সূর্য, পৃথিবী এবং ধূমকেতুটির নিজস্ব জ্যামিতিক সম্পর্ক বদলে যাওয়াতেই এই আকারের পরিবর্তন।
ধূমকেতু কী?
কিন্তু যে মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে এত হইচই, সেই ধূমকেতু কাকে বলে? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'-র ব্যাখ্যা, ধূমকেতু আসলে কোনও সৌর পরিবারের এক ধরনের অবশিষ্টাংশ। ধুলো, পাথর এবং বরফকুচি দিয়ে তৈরি। সাধারণভাবে ঠান্ডা, জমাটবাঁধা। কয়েক কিলোমিটার থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার চওড়া হতে পারে এগুলি। তবে কোনও ধূমকেতু সূর্যের যত কাছে এগোতে থাকে, ততই উত্তপ্ত হয়ে গ্যাস এবং ধুলো উদগীরণ করতে শুরু করে। সেই উদগীরণ ধূমকেতুর চোখধাঁধানো ঔজ্জ্বল্যের মূল ব্যাখ্যা। কখনও সখনও এটি কোনও কোনও গ্রহের থেকেও বড় হতে পারে।
আরও পড়ুন:অরণ্যের অজানা অধ্যায়, মেঘালয়ের জঙ্গলে নতুন প্রজাতির পতঙ্গ আবিষ্কার বাঙালি পতঙ্গবিদের