Oldest Baby Born: ৩৩ বছর আগে জমিয়ে রাখা হয়েছিল ভ্রূণ, জন্ম নিল পৃথিবীর ‘প্রবীণতম শিশু’, চিকিৎসা বিজ্ঞানের দুনিয়ায় নয়া মাইলফলক
Baby Born from Frozen Embryo: আমেরিকার ওহায়ো থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

নয়াদিল্লি: চিকিৎসা বিজ্ঞানের দুনিয়ায় নয়া মাইলফলক তৈরি হল। তিন দশকেরও বেশি সময় আগে জমিয়ে রাখা ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল শিশু। শিশুটি একেবারে সুস্থ রয়েছে। তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘প্রবীণ শিশু’ বলে উল্লেখ করছেন কেউ কেউ। এত দীর্ঘ সময় হিমায়িত অবস্থায় থাকা ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্মের অন্য নজির নেই। (Oldest Baby Born)
আমেরিকার ওহায়ো থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। ১৯৯২ সালে ভ্রূণটি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই মতো গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিমায়িত অবস্থায় রাখা হয়েছিল ভ্রূণটিকে। গত ২৬ জুলাই সেই ভ্রূণ থেকে একটি সুস্থ শিশু জন্ম নিয়েছে লিনজি এবং টিম পিয়ার্সের কোলে। (Oldest Baby Born Through IVF)
IVF পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু থেকে ভ্রূণ তৈরি করে মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়। ভবিষ্যতের জন্য সেই ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় সংরক্ষিত রাখাও যায়। লিনজি ও টিমের কোলে যে সন্তান এসেছে, সেই ভ্রূণটিও ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিমায়িত অবস্থায় ছিল। তবে ভ্রূণটি তাঁদের নিজেদের নয়, দত্তক নেওয়া। (Baby Born from Frozen Embryo)
সন্তান দত্তক নেওয়ার মতো আমেরিকায় ভ্রূণ দত্তক নেওয়া যায়। ১৯৯২ সালে লিন্ডা আর্চার্ড এবং তাঁর স্বামীর ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মিলিয়ে IVF পদ্ধতিতে মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করা হয়। তার মধ্য়ে একটি ব্যবহার করে ১৯৯৪ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন লিন্ডা।জন্ম নেয় তাঁদের কন্যাসন্তান। সেই মেয়ের বয়স এখন ৩০ বছর, যাঁর নিজের ১০ বছরের এক সন্তান রয়েছে।
বাকি ভ্রূণ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন লিন্ডা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পর ওই ভ্রূণর উপর লিন্ডার একার অধিকার কায়েম হয়। সেই সময়ই ভ্রূণ দত্তক দেওয়া যায় বলে জানতে পারেন তিনি। নিঃসন্তান দম্পতিকে ওই ভ্রূণ দত্তক দিতে আগ্রহী ছিলেন লিন্ডা শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে লিনজি এবং টিমের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। লিন্ডার সেই একটি ভ্রূণ থেকেই লিনজি এবং টিমের কোলে জন্ম নিয়েছে তাঁদের পুত্রসন্তান থাডিউস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। সে একেবারে সুস্থ আছে।
লিনজি জানিয়েছেন, তিনি এবং কোলের সন্তান, দু’জনই একেবারে সুস্থ। লিন্ডা জানিয়েছেন, ছেলের ছবি তাঁকে পাঠিয়েছেন লিনজি। তাঁর মেয়ের সঙ্গে মুখের মিল রয়েছে শিশুটির। যে IVF ক্লিনিক এই অসাধ্যসাধন করেছে, তার প্রধান জন গর্ডন জানিয়েছেন, জমি রাখা ভ্রূণগুলি যাতে পৃথিবীর আসার সুযোগ পায়, সেই চেষ্টাই করছেন তাঁরা।






















