Chandrayaan 3 Mission: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়া লক্ষ্য, সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের সঙ্গে এক আসনে ভারত
Science News: পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে বলেই উপগ্রহ চাঁদকে ঘিরে বরাবরের কৌতূহল।
নয়াদিল্লি: পালকের মতো মাটি ছুঁতে না পারাতেই বিপত্তি ঘটেছিল গতবার। ‘চন্দ্রযান-৩’ সেই ভুল করবে না বলেই আশাবাদী ইসরো। তাই সফ্টল্যান্ডিং অর্থাৎ পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ার দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO (Science News). সেই লক্ষ্যপূরণে সফল হলে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁতে পারা চতুর্থ দেশ হতে পারার শিরোপা উঠবে ভারতের মাথায়। (Chandrayaan 3 Mission)
পালকের মতো চাঁদের বুকে অবতরণই লক্ষ্য ISRO-র
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে বলেই উপগ্রহ চাঁদকে ঘিরে বরাবরের কৌতূহল। এখনও পর্যন্ত চাঁদের মাটি ছোঁয়ার জিগির রয়েছে চরমে। এর মধ্যে আমেরিকা চাঁদে মানুষও পাঠিয়েছে। এবার ভারতের পালা চাঁদের মাটি ছোঁয়ার। তবে শুধু মাটি ছোঁয়াই নয়, পালকের মতো পা রাখা চাঁদের বুকে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রযান-৩’ শুধু মাত্র কোনও অভিযান নয়, বরং গোটা দেশের স্বপ্ন বয়ে চলেছে সে।
‘চন্দ্রযান-২’ ব্যর্থ হলে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ‘চন্দ্রযান-৩’-কে চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। ২০২১ সালেই সেটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসের জেরে উদ্ভুত অতিমারি পরিস্থিতির জন্য অভিযানের সময় পিছিয়ে যায়। শেষ মেশ, শুক্রবার শ্রীহরিকোট থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিল 'চন্দ্রযান-৩'। চাঁদের উদ্দেশে এই নিয়ে তৃতীয় অভিযান ISRO-র। চাঁদের মাটি ছুঁতে একমাসের বেশি সময় লাগবে ‘চন্দ্রযান-৩’-র। আগামী ২৩ অগাস্ট সেটি চাঁদের মাটি ছোঁবে বলে জানা গিয়েছে।
'চন্দ্রযান-৩'-এ মোট তিনটি উপাদান রয়েছে, একটি ল্য়ান্ডার, একটি রোভার এবং একটি প্রোপালসন মডেল। 'চন্দ্রযান-২' মুখ থুবড়ে পড়লেও, চাঁদের কাছে তার অরবিটারটি রয়ে গিয়েছে। সেটিও ব্যবহার করবে 'চন্দ্রযান-৩'। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। সেখানে জলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে আগে।
পৃথিবী থেকে সফ্টল্যান্ডিং নিয়ন্ত্রণ করবে ISRO
এই ল্যান্ডার 'বিক্রম'-কেই পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ানোর লক্ষ্য রয়েছে ISRO-র। এর পর ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। এক চন্দ্রদিবসের জন্য চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। এক চন্দ্রদিবস পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন। চাঁদের মাটিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে 'চন্দ্রযান-৩'। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সফ্টল্যান্ডিংয়ের উপর, যা পৃথিবীতে বসে নিয়ন্ত্রণ করবেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা।