Science News: রোবটের পেটেই জন্ম নেবে মানবশিশু, জোর প্রস্তুতি চিনে, ঘুচবে বন্ধ্যাত্ব?
Robot Pregnancy: ভ্রূণধারণ থেকে শিশুসন্তান প্রসব, রোবটকে মাতৃত্বের স্বাদ বোঝাতে এই মুহূর্তে জোর প্রস্ততি চলছে চিনে।

নয়াদিল্লি: বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় যুঝছে গোটা বিশ্ব। আর সেই আবহে নজির গড়তে চলেছে চিন। সব ঠিক থাকলে, সেখানে এবার যন্ত্রমানব তথা রোবট সন্তানের জন্ম দেবে। শুধু সন্তান প্রসবই নয়, সন্তানধারণ থেকে গর্ভাবস্থা, মাতৃত্বের প্রত্যেকটি ধাপই পেরোবে রোবট। ফুটফুটে মানবসন্তান প্রসবও করানো হবে তাকে দিয়েই। (Robot Pregnancy)
ভ্রূণধারণ থেকে শিশুসন্তান প্রসব, রোবটকে মাতৃত্বের স্বাদ বোঝাতে এই মুহূর্তে জোর প্রস্ততি চলছে চিনে। বিজ্ঞানী ঝাং শিফেংয়ের সংস্থা Kaiwa Technology এই প্রযুক্তি গড়ে তুলছে। তিনি জানিয়েছেন, মাতৃত্বের প্রত্যেকটি ধাপ পেরোবে রোবট। তার কৃত্রিম গর্ভেই বেড়ে উঠবে মানবসন্তান। টিউবের মাধ্যমে ভ্রূণের শরীরে পৌঁছে যাবে পুষ্টি। (Science News)
সিঙ্গাপুরের Nanyang Technological University-র পিএইচডি গ্র্যাজুয়েট ঝাং। গুয়াংঝৌতে নিজের সংস্থাটি চালান তিনি। তাঁর দাবি, রোবটের সন্তানধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রোবটের তলপেটে প্রতিস্থাপন করতে হবে। গর্ভাবস্থার জন্য রোবট এবং আসল মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হওয়া জরুরি। তবেই ভ্রূণর বৃদ্ধি হবে।
মাতৃত্বের উপযোগী ওই রোবটের প্রোটোটাইপ আগামী বছর ১০ হাজার ডলারে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী ঝাং। কিন্তু শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণ তৈরি হবে কোথা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঝাং জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় আগাগোড়া রোবটের গর্ভেই থাকবে ভ্রূণ। মাতৃগর্ভের অনুরূপ পরিবেশ গড়ে তুলতে কৃত্রিম অ্যামনিওটিক তরল থাকবে রোবটের গর্ভে। তবে কীভাবে ভ্রূণ রোবটের গর্ভে পৌঁছবে, তা খোলসা করা হয়নি।
বিজ্ঞানী ঝাংয়ের দাবি, রোবটের সন্তানধারণের ভাবনা নতুন কিছু নয়। অতীতে Biobag-এর মাধ্যমে প্রিম্যাচিওর ভেড়া রেখা দেওয়ার নজির রয়েছে। রোবটের গর্ভে সন্তানধারণের এই ধারণা নিয়ে কম বিতর্ক নেই। এমনকি আইনি বাধাবিঘ্নও নেমে এসেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের এই উন্নতি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মত ঝাংয়ের। শুধু তাই নয়, পরিবার পরিকল্পনা, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণেও এই প্রকল্প সহায়ক হবে বলে আশা তাঁর।
যদিও এমন পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সমালোচকরা। তাঁদের দাবি, ভ্রূণের সঙ্গে মায়ের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সংযোগ থেকে শিশুকে বঞ্চিত রাখা অনৈতিক এবং নিষ্ঠুর। হরমোন-জনিত সমস্যা থেকে আরও একাধিক সমস্যার কথাও উঠে আসছে। অন্য দিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা নারীর অস্তিত্বের পরিপন্থী। মেয়েদের কাছ থেকে মাতৃত্বের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। যদিও অন্য একটি অংশের মত, সঠিক ব্যবহারে এই প্রযুক্তি সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। যে সব মহিলাদের স্বাস্থ্য়ের সমস্যা রয়েছে, সন্তানধারণে সফল হচ্ছেন না যাঁরা, তাঁরা এতে উপকৃত হবেন।























