James Webb Space Telescope: মহাকাশে বরফের আলপনা? মধ্যিখানে নবীন সূর্য, ছবি তুলল James Webb Telescope
Science News: নক্ষত্রকে ঘিরে বলয়ের আকারে ছড়িয়ে রয়েছে শ্বেতশুভ্র বরফ।

নয়াদিল্লি: সাগর-মহাসাগর খুঁজতে গেলে হবে না। মহাশূন্যে ভিন্ন রূপেও জলের সন্ধান মিলতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই মতো অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার করল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope). মহাশূন্যের বুকে বরফ হয়ে জমে থাকা জলের সন্ধান পেল সেটি। একটি নক্ষত্রকে ঘিরে বলয়ের আকারে ছড়িয়ে রয়েছে শ্বেতশুভ্র বরফ। (James Webb Space Telescope)
এর আগে আমাদের নিজেদের সৌরজগতে গ্যাসের আকারে, বাষ্পের আকারে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এবার আমাদের সৌরজগতের বাইরে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে বরফের বলয়ের খোঁজ মিলল। জল জমে বরফের আকারে চারিদিক থেকে নক্ষত্রটিকে ঘিরে রেখেছে। জল জমে স্ফটিকের আকার ধারণ করেছে সেখানে। সেই ছবিও প্রকাশ করেছে NASA. (Science News)
পৃথিবী থেকে ১৫৫ আলোকবর্ষ দূরে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্র রয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে HD 181327. সূর্যের মতো বয়সে প্রবীণ নয় ওই নক্ষত্রটি, বরং নবীন। তাকে ঘিরে চাকতির আকাশে বিরাজ করছে জল জমে তৈরি হওয়া বরফ। যুগান্তকারী এই আবিষ্কারের ফলে ব্রহ্মাণ্ডের কারিকুরি, গ্রহ-নক্ষত্রের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
Ice ice baby!
— NASA Webb Telescope (@NASAWebb) May 15, 2025
Webb found crystalline water ice in a debris disk around a young, Sun-like star. Scientists expected to see it in other star systems, because of its presence in our own - but haven't had sensitive enough instruments to give definitive proof until now.… pic.twitter.com/BPkmgNqv5G
James Webb যে জলের সন্ধান পেয়েছে, তা জমে একেবারে স্ফটিকের আকার ধারণ করেছে। শনির বলয় এবং কুইপার বেল্টেও এমন বরফের খোঁজ মিলেছে আগে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী চেন শি জানিয়েছেন, বলয়ের মধ্যেই বরফের বরফে ঘর্ষণ লেগে এমন স্ফটিক তৈরি হয়। আমাদের সৌরজগতেও এমন ঘটার উদাহরণ রয়েছে। আর এ থেকেই সৃষ্টি হয় গ্রহের।
HD 181327 নক্ষত্রটি একটির বয়স ২.৩ কোটি বছর প্রায়। ৪৬০ কোটি বছরের সূর্যের সঙ্গে এর অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এখনও গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনে ওই স্ফটিকাকার বরফ নবগঠিত গ্রহগুলিতে চালান হয়ে যেতে পারে আর তা থেকে আমাদের সৌরজগতের মতো গ্রহমণ্ডলের সৃষ্টি হতে পারে।






















