Sunita Williams: ৮ দিনের জন্য গিয়ে মহাকাশে আটকে ৯ মাস! কী খেতেন, কীভাবে জল পেতেন সুনীতারা?
Sunita Williams News: মহাকাশে মহাগাথা রচনা করে, পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদভূত সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গীরা

কলকাতা: আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনে কীভাবে ২৮৬ দিন কাটালেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গীরা! এতদিন কী খেতেন তাঁরা? এক পুরনো ভিডিওতে সুনীতা উইলিয়ামসই দেখিয়েছিলেন, স্পেস স্টেশনে তাঁদের মেনুতে কী থাকে। এবার তো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন মহাকাশচারীরা। পালন করেন ক্রিসমাসও!
মহাকাশে মহাগাথা রচনা করে, পৃথিবীতে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদভূত সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গীরা। মহাকাশ-কন্য়ার প্রত্য়াবর্তনে দেশজুড়ে এখনও উচ্ছ্বাসের আবহ। কারণ, মহাশূন্য়ে ২৮৬ দিন আটকে থাকা, মুখের কথা নয়। বরং মারাত্মক কঠিন চ্য়ালেঞ্জ। কিন্তু, এই মহাকাশচারীরা তাকে কঠিন মনে হতে দেননি। মুখে মুখে যে প্রশ্নটা ফিরছে, তা হল, এতদিন মহাকাশে কী খেয়ে কাটালেন সুনীতারা? তাঁরা ৩ মাসের মতো প্যাকেট করা খাবার, ফল এবং শাকসবজি নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে শুকনো পুষ্টিকর খাবারই ছিল তাঁদের ভরসা। তাতে অবশ্য় বৈচিত্র্য়ের অভাব ছিল না। সিরিয়াল, পিৎজা, স্পিনাচ, রোস্ট চিকেন, টুনা--- সবই ছিল স্পেস স্টেশনে।
একটি পুরনো ভিডিওতে সুনীতাই, ঘুরে দেখিয়েছিলেন, স্পেস স্টেশনের খাবারের ভাঁড়ার কেমন হয়। সুনীতার কথায়. 'এটা একটা দারুণ জায়গা। বাড়িতে যেমন একটা জায়গা থাকে, যেখানে সকালে দাঁত ব্রাশ করার পর সবাই একসঙ্গে বসে, ব্রেকফাস্ট করে। এটা আমাদের রান্নাঘর। এখানে খাবার আছে। মনে হবে ফ্রিজ খুলছি। পানীয়, মাংস, ডিম, সবজি, শস্য়, পাঁউরুটি, স্ন্য়াক্স, পাওয়ার বার... আমাদের কাছে সব খাবার আছে। আমাদের কাছে সব খাবার আছে। খাবারগুলো ডিহাইড্রেটেড অবস্থায়। আমাদের হাইড্রেট করতে হয়।'
মহাকাশে স্যুপ, স্টু-র মতো ডিহাইড্রেটেড খাবারগুলোকে জল দিয়ে হাইড্রেটেড করা হত। কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির একটি ভিডিওতে তা-ও দেখিয়েছিলেন এক মহাকাশচারী। যেমন ধরুন, পালং খেতে হলে, ওয়াটার ডিস্ট্রিবিউটরে লাগাতে হবে। জলের পরিমাণ ঠিক করতে হবে। বোতাম টিপতে হবে। ম্য়াজিকের মতো। খাবার তৈরি। এবার প্রশ্ন আসতে পারে, মহাকাশে এত জল আসবে কোথা থেকে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীদের প্রস্রাব এবং ঘামই বিশুদ্ধ করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়।
একঘেয়েমি কাটাতে মহাকাশচারীরা, বাড়ি থেকে পছন্দের খাবার নিয়ে যান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মহাকাশচারীদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন রকম খাবারও থাকে। নাসার একটি পুরনো ভিডিও-তে তাও দেখিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস। সুনীতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'কিছু খাবার তৈরি। আমাদের শুধু গরম করে নিতে হয়। এখানে শুধু আমেরিকার খাবার নেই। জাপান, রাশিয়ার খাবারও আছে। এই লাল কন্টেনারে। এছাড়া কিছু স্পেশাল খাবার থাকে। আমাদের খুব প্রিয়, যেগুলো বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেয়। এখানে প্রচুর খাবার। কোনও সমস্য়া নেই।'
২০২৪-এর ৫ জুন ৮ দিনের জন্য়, মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সুনীতারা। পাঁচ মাস পর নভেম্বরে, নাসার শেয়ার করা ভিডিও-তে সুনীতারা মহাকাশ থেকে বার্তা দেন, 'আমরা ভাল আছি, সুস্থ আছি। কেউ বেশি চিন্তা করবেন না।' এমনকী, মহাকাশে স্পেস স্টেশন থেকে আমেরিকার নির্বাচনে অবধি অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সান্তা টুপি পরে ক্রিসমাসও পালন করেছিলেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গীরা। এভাবেই কেটেছে ৯টা মাস! সাহস আর ধৈর্যে ভর করেই, মহাশূন্য়ের লড়াইয়ে জিতে, ফিরে এসেছেন তাঁরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
