Science News: আগের চেয়ে বেড়েছে ঔজ্জ্বল্য, সাঁঝের আকাশে এখন আরও ঝকঝকে শুক্র, কারণ জানুন
Venus: পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ শুক্র। রহস্যময় উপস্থিতি তার। কিন্তু ইদানীং আরও উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে শুক্রগ্রহ।
কলকাতা: দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততা এত বেড়েছে যে, আকাশ দেখার অভ্যাস ঘুচে গিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনে সাঁঝের আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছেন কি একবারও? না তাকালে বোঝার উপায় নেই (Science News)। যাঁরা দেখেছেন, ঝকঝকে একটি বিন্দু চোখে পড়েছে তাঁদের। সেটি উজ্জ্বল কোনও নক্ষত্র বা ভিনগ্রহী নয়। গত কয়েক দিন ধরে সাঁঝের আকাশে ধরা দেওয়া উজ্জ্বল ওই বিন্দুটি আসলে শুক্রগ্রহ (Venus)।
ইদানীং আরও উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে শুক্রগ্রহ
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ শুক্র। রহস্যময় উপস্থিতি তার। কিন্তু ইদানীং আরও উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে শুক্রগ্রহ। সাঁঝের আকাশের দিকে চোখ মেলে তাকালেই নজরে পড়ছে। পৃথিবীর মতো শুক্রও পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আচমকা তার এই ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি নজরে পড়েছে সকলেরই। এর কারণও জানা গিয়েছে (Space Science)।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে শুক্র। দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান হওয়াতেই পৃথিবী থেকে শুক্রের উজ্জ্বল রূপ ধরা পড়ে। কিন্তু ইদানীং যে আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে শুক্রকে, তার অন্য কারণও রয়েছে।
পৃথিবীর কক্ষপথ ডিম্বাকৃতির হলেও, শুক্রের কক্ষমত তুলনায় গোলাকার। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে মাঝে মধ্যে একই সরলরেখায় অবস্থান করে শুক্র এবং পৃথিবী। অর্থাৎ সূর্যের একই দিকে থাকে দুই গ্রহ। তাতে যে সরলরেখা তৈরি হয়, তাতে প্রথমে সূর্য, তাপ পর শুক্র এবং তৃতীয় স্থানে থাকে পৃথিবী। এই সময় পৃথিবীর থেকে শুক্রের দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। তাতেই আরও বেশি উজ্জ্বল দেখায় তাকে।
এ ছাড়াও, নিজের অক্ষের উপর কিছুটা হেলে থাকে গ্রহ। পৃথিবীর কক্ষপথের সঙ্গে তুলনা করলে শুক্র ৩.৪ ডিগ্রি হেলে থাকে। এক সরলরেখায় অবস্থানের সময়, সূর্যের আলোকরশ্মি শুক্রের চারপাশের বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণার সঙ্গে মিশে ধূসর আভার সৃষ্টি হয়। তাতেই পৃথিবী থেকে আরও উজ্জ্বল দেখায় শুক্রকে।
সূর্যের আলো পড়ে উজ্জ্বল দেখায় শুক্রকে
শুক্রগ্রহ শুকতারা এবং সন্ধ্যাতারা নামেও পরিচিত আমাদের কাছে। ভোরের আকাশে পূর্ব আকাশে যখন ধরা দেয়, তাকে বলে শুকতার। সন্ধেয় পশ্চিম আকাশে ধরা দেয় সন্ধ্যাতারা হিসেবে। সূর্যের আলো পড়ে উজ্জ্বল দেখায় বলেই নামের শেষে তারা যোগ করি আমরা।