Punjab Election Result 2022: পাঞ্জাব-জয়ের পর জোফ্রা আর্চারের ট্যুইট দিয়ে জয়োল্লাস আম আদমি পার্টির
AAP on Jofra Archer: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত পোস্ট করে থাকেন জোফ্রা আর্চার। তাঁর সেই সমস্ত ট্যুইটে বেশিরভাগ সময়ই থাকে কোনও ঘটনা নিয়ে পূর্বাভাস। যা অনেক সময় মিলেও যায়। হইচইও কম হয় না।
অমৃতসর: জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer)। প্রায় আট মাস চোটের জন্য মাঠের বাইরে রয়েছেন ইংরেজ পেসার। কিন্তু তবু তাঁকে নিয়ে বৃহস্পতিবার আচমকা চর্চা শুরু হল। বা বলা ভাল, চর্চা শুরু হল আর্চারের একটি পুরনো ট্যুইট ঘিরে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত পোস্ট করে থাকেন জোফ্রা আর্চার। তাঁর সেই সমস্ত ট্যুইটে বেশিরভাগ সময়ই থাকে কোনও ঘটনা নিয়ে পূর্বাভাস। যা অনেক সময় মিলেও যায়। তা নিয়ে হইচইও কম হয় না।
বৃহস্পতিবার চর্চা শুরু হল কারণ, পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর আর্চারের একটি ট্যুইটকে রিট্যুইট করল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
২০ ফেব্রুয়ারি একটি ট্যুইট করেছিলেন আর্চার। যাতে লেখা ছিল একটিই শব্দ। 'স্যুইপ?' বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিধানসভা দখল করেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। তারপরই আর্চারের সেই ট্যুইটি রিট্যুইট করে আপের তরফে লেখা হয়, 'ইয়েস, আপস্যুইপসপাঞ্জাব'। সেই ট্যুইটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
YES! 😎 #AAPSweepsPunjab https://t.co/MAD1Wxzca0
— AAP (@AamAadmiParty) March 10, 2022
প্রথম বার রথের চাকা আটকে গিয়েছিল ২০ আসনে। কিন্তু পাঞ্জাবে এ বার তরতরিয়ে একেবারে শাসকের আসনে বসে পড়ল আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party/AAP)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং কংগ্রেসের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা, এই দুইয়ে ভর করেই আপের পালে হাওয়া লেগেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে আপের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিচার-বিশ্লেষণ। কিন্তু পাঞ্জাবে আপের এই বিরাট জয়ের আরও বেশ কিছু বিষয় কাজ করেছে।
মাদক বিরোধী অভিযান, সীমান্ত সুরক্ষা—বছর বছর এই ইস্যুতেই ভোট হয়েছে পাঞ্জাবে। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে হালফিলে তাতে যোগ হয় কৃষি এবং কৃষক। কিন্তু এ সবের বদলে দিল্লি মডেলকে সামনে রেখেই জয়লাভ করে আপ। নামমাত্র মূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পঞ্জাবে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মূলত বেসরকারিকরণের আওতায়ই রয়েছে। তাই দিল্লিবাসীর মতো সরকারি পরিষেবাকেই প্রাধান্য দেন পাঞ্জাববাসী।