Jayant Yadav Exclusive: রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং দর্শন খুব সহজ-সরল, কিউয়ি বধের পর বলছেন জয়ন্ত
Ind vs NZ Exclusive: নিউজিল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ভারত। ওয়াংখেড়েতে কিউয়িদের ৩৭২ রানে হারিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। সেই টেস্টে দলে ফিরে ৫ উইকেট নিয়েছেন জয়ন্ত যাদব (Jayant Yadav)।
কলকাতা: তিনি শেষবার যখন ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন, জাতীয় দলের কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। প্রত্যাবর্তন ঘটালেন রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) প্রশিক্ষণে। কেমন দেখলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে?
নিউজিল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ভারত। ওয়াংখেড়েতে কিউয়িদের ৩৭২ রানে হারিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। সেই টেস্টে দলে ফিরে ৫ উইকেট নিয়েছেন জয়ন্ত যাদব (Jayant Yadav)। এবিপি লাইভের প্রশ্নে মঙ্গলবার গুরগাঁও থেকে জয়ন্ত বললেন, 'রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণে আগেও খেলেছি। প্রথমবার ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলেছিলাম রাহুল ভাইয়ের কোচিংয়ে। ওর কোচিং দর্শনই হল ক্রিকেটারদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া। সকলকে স্বাধীনতা দেয়। কী করে নিজেকে ঘষামাজা করে আরও উন্নতি করা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেয়। খেলাটা নিয়ে ভাবতে শেখায়। কোনও ব্যাটসম্যান ব্য়াকফুটে বেশি খেলে, তাকে কী করে সামনের পায়ে আনা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করে। টেস্ট ক্রিকেট মানেই হল আপনি আজ যা, কাল কী করে তার চেয়েও উন্নত ক্রিকেটার হিসাবে মাঠে নামতে পারেন সেটা ঠিক করা। রাহুল ভাইয়ের কোচিং খুব সহজ সরল। ড্রেসিংরুমের আবহটা দারুণ রাখে। সবাই খুব খুশি। ওঁর প্রশিক্ষণে খেলতে পারাটা দারুণ অভিজ্ঞতা।'
অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়েও নিজের মুগ্ধতার কথা শুনিয়েছেন জয়ন্ত। বলছেন, 'বিরাট বোলারদের অধিনায়ক। আমি সব টেস্ট ম্যাচ ওর নেতৃত্বেই খেলেছি। বিরাট সকলের মতামত নেয়। সমর্থন করে। সতীর্থদের স্বাধীনতা দেয়।'
প্রত্যাবর্তনেই নজর কেড়েছেন ৩১ বছর বয়সী অফস্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন। প্রিয় স্পিনার? জয়ন্ত বলছেন, 'যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিংহকে ভাল লাগত। পরে গ্রেম সোয়ানের বোলিং খুব ভাল লাগত। তারপর অশ্বিনের বোলিং আমার প্রিয়।'
আরও পড়ুন: 'কেউই বাইরে বসতে চায় না,' পন্থের কাছে জায়গা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে ভাবছেন না ঋদ্ধি
হরিয়ানার স্পিনার যোগ করলেন, 'অশ্বিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলছি। ভারতীয় এ দলের হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলাম। আমি অনেকসময় ওর মতো করে ভাবার চেষ্টা করি। যে আমার জায়গায় অশ্বিন থাকলে কীভাবে বল করত। শেখার শেষ নেই। আমি অশ্বিনের কাছে সবসময় শিখি। শুধু অশ্বিন নয়, আমি রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর পটেল, সকলের কাছেই শিখি।' জয়ন্ত আরও বললেন, 'যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গেও আমার দারুণ বন্ধুত্ব। আমাদের বাড়ি এক কিলোমিটারের দূরত্বে। চাহাল আধুনিক ক্রিকেটে সীমিত ওভারে ফর্ম্যাটে অসাধারণ। সব সময় খেলাটা নিয়ে ভাবতে থাকে। কীভাবে ব্যাটারকে বোকা বানানো যায়, উইকেট তোলা যায়, ভাবে। ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।'
আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা হওয়ার দিকে তাকিয়ে জয়ন্ত।