AIFF: রেফারিংয়ের মান ফেরাতে সচেষ্ট সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, বৈঠক ডাকলেন কল্যাণ
Kalyan Chaubey: চলতি আইএসএলে বারবার রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচে ৭টি লাল কার্ড ও ৭টি হলুদ কার্ড দেখিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন রেফারি।
নয়াদিল্লি: চলতি আইএসএলে বারবার রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচে ৭টি লাল কার্ড ও ৭টি হলুদ কার্ড দেখিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন রেফারি। আইএসএলের ইতিহাসে এর আগে কোনও ম্যাচে ১৪ কার্ড দেখানো হয়নি। তারপর ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম ওড়িশা এফসি ম্যাচেও রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গল নিশ্চিত দুটি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়। যার জেরে কাঠগড়ায় তোলা হয় বিতর্কিত রেফারিংকে।
রেফারিংয়ের মান ফেরাতে এবার সক্রিয় হয়ে উঠল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা এআইএফএফ (All India Football Federation)। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন। ফেডারেশনের রেফারি কমিটির সদস্য, রেফারিদের প্রধান অফিসার ট্রেভর কেটল এবং রেফারিদের জরিপ করার জন্য নিযুক্ত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কল্য়াণ। রেফারিংয়ের মান নিয়ে আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। কীভাবে রেফারিংয়ের মানের উন্নতি ঘটানো যাবে, সেই দিকনির্দেশও খোঁজা হবে বৈঠকে। ৩১ ডিসেম্বর হবে বৈঠক।
মুম্বই সিটি এফসি বরাবরই শক্ত গাঁট সবুজ-মেরুন শিবিরের। আইএসএলে (ISL) কোনওদিন মুম্বইয়ের (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে জিততে পারেনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (MBSG)। হতাশার ছবিটা বদলায়নি গত বুধবারও। ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান। যদিও সেই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। লাল কার্ড দেখানোর ক্ষেত্রে রেফারির তৎপরতা দেখে হতাশ অনেকেই। গোটা ম্যাচে ৭টি লাল কার্ডের পাশাপাশি ৭টি হলুদ কার্ডও দেখিয়েছিলেন তিনি। যা আইএসএলে এর আগে কোনও ম্যাচে দেখা যায়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে দু'দলের ফুটবলাররা ঝামেলায় জড়ান। মাঠে নেমে পড়েন সাপোর্ট স্টাফেরাও। ম্যাচের রাশ হাতে রাখতে তাঁর ঘন ঘন কার্ড ব্যবহারে ক্ষুব্ধ দু’দলই। রাহুলই যেন ম্যাচের ‘নায়ক’! ম্যাচের পর বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দুই শিবিরকেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪ মিনিটের ব্যবধানে লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের আশিস এবং লিস্টন। ৭৩ মিনিটে গোলদাতা স্টুয়ার্টের পাস থেকেই ফের গোল পায় মুম্বই। রক্ষণ জমাট করে মোহনবাগানকে আর সমতা ফেরানোর সুযোগই দেয়নি তারা। ওখানেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়। যদিও নাটকের আরও বাকি ছিল। ৮৮ মিনিটে এসে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্টুয়ার্ট। বক্সের মধ্যে মোহনবাগান ডিফেন্ডারেরা স্টুয়ার্টকে ফাউল করলে পেনাল্টি পেতে পারত মুম্বই। কিন্তু রেফারি রাহুল গুপ্ত মনে করেন ইচ্ছা করে পড়ে গিয়েছেন স্টুয়ার্ট। সময় নষ্ট না করে স্টুয়ার্টকে দ্বিতীয় হলদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখান। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে বিপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার ফলে লাল কার্ড জুটল মুম্বইয়ের বিক্রমের কপালেও।
এবার বিতর্কমুক্ত রেফারিংয়ের জন্য সচেষ্ট হল এআইএফএফ।