Lionel Messi in Kolkata: মেসিকাণ্ডে মন্ত্রিত্ব গেল অরূপ বিশ্বাসের, ইস্তফাপত্র পেয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aroop Biswas: নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আজই ইস্তফা দিয়ে মমতাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন অরূপ, যাতে সায় দিলেন মমতা।

কলকাতা: তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অরূপ বিশ্বাসকে ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অরূপের পদত্যাগের ইচ্ছাকে মর্যাদা জানিয়েই অব্যাহতি দেওয়া হল তাঁকে। তদন্ত চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই রাখবেন ক্রীড়া দফতর। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আজই ইস্তফা দিয়ে মমতাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন অরূপ, যাতে সায় দিলেন মমতা। (Aroop Biswas)
মঙ্গলবারই মমতার কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান অরূপ। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চান। অরূপ জানান, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই তিনি পদ ছাড়তে চাইছেন। মমতা তাঁর ইচ্ছেয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে গোড়াতেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি মেলেনি তখনও। তবে কিছু ক্ষণ আগেই অরূপে মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার খবরে সিলমোহর পড়ে। (Lionel Messi in Kolkata)
জানা গিয়েছে, অরূপের পদত্যাগের ইচ্ছেকে মর্যাদা জানিয়েই তাঁকে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মমতা। আপাতত ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর নিজের হাতেই রাখবেন মমতা। তদন্ত চলাকালীন ওই দফতরের যাবতীয় কাজকর্ম মমতাই দেখবেন। তদন্ত শেষ হওয়ার পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। তবে আপাতত ওই দফতর আর কাউকে দিচ্ছেন না।
কলকাতায় লিওনেল মেসির আগমন ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে বিশৃঙ্খল দেখা দেয়, তার জন্য গোড়া থেকেই অরূপের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছিল। মেসির কোমর জড়িয়ে ছবি তোলা থেকে সারাক্ষণ মেসির গায়ে লেগে থাকা, নিজের পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠদের নিয়ে মেসিকে ঘিরে রাখা, সমালোচনায় বিদ্ধ হন অরূপ। তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয় দলের অন্দরেও। বেসরকারি সংস্থার আয়োজন হলেও, অরূপ ও তাঁর দফতর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তার দায় পুরোপুরি রাজ্য সরকারের উপর এসে পড়ছে বলে মনে করছিলেন অনেকেই। সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই এদিন মমতাকে ইস্তফাপত্র পাঠান অরূপ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দও অরূপের পদত্যাগের দাবি তোলেন। তদন্তপ্রক্রিয়া যাতে নিরপেক্ষ থাকে, তদন্ত যাতে নির্বিঘ্নে চলে, তাই দায় স্বীকার করে অরূপের পদ ছাড়া উচিত বলে জানান তিনি। গোটা ঘটনায় এযাবৎ কড়া পদক্ষেপই করেছে রাজ্য সরকার। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। শতদ্রুর সঙ্গে যদি মনোজ বর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ পায়, তাঁর মাথায় যদি প্রভাবশালীদের হাত থাকে, তাতে রাজ্যের সিট নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারে না।"
যদিও রাজ্যের তরফে অরূপের দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিনহাকেও শোকজ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁর দফতরের অধীনেই পড়ে যুবভারতী। শোকজ করা হয়েছে ডিজি রাজীব কুমার, বিধাননগরের সিপি মুকেশ কুমারকেও। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের অনীশ সরকারকও। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হচ্ছে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সিইও দেবকুমার নন্দকেও পদ থেকে সরানো হয়েছে।






















