BCCI's Ranji plan: আগামী মাসেই শুরু রঞ্জির লিগ পর্ব, নক আউটের ম্যাচ জুনে
BCCI's Ranji plan: আর আগামী জুনে নক আউটের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ আইপিএলের আগে লিগ পর্বের ম্য়াচগুলো হয়ে যাবে। আর আইপিএলের পরে রঞ্জির নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো খেলা হবে।
মুম্বই: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল এবারের রঞ্জি টু্র্নামেন্টে। কিন্তু এবার সেই টুর্নামেন্ট শুরুর ভাবনায় বিসিসিআই (bcci)। তবে টানা এই টুর্নামেন্ট না করে ২ ভাগে তা করতে চলেছে বিসিসিআই। ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের ম্য়াচগুলো। আর আগামী জুনে নক আউটের (knock out) ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ আইপিএলের আগে লিগ পর্বের ম্য়াচগুলো হয়ে যাবে। আর আইপিএলের পরে রঞ্জির (ranji trophy) নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো খেলা হবে। এদিন বোর্ড সচিব জয় শাহ (jay shah) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ''বোর্ডের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবারের রঞ্জি ট্রফি ২ টো ভাগে আয়োজন করা হবে। প্রথম ভাগে লিগ পর্যায়ের সব ম্যাচ হবে। পরের পর্যায়ে নক আউটের ম্যাচগুলো হবে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে। জুনে নক আউটের ম্যাচ হবে।'' ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, ''আমার দল গোটা বিষয়টির দিকে নজর রেখেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক প্লেয়ার ও সাপোর্ট স্টাফ ও গ্রাউন্ডসম্যানদের সুস্থতার দিকে লক্ষ্য রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব। রঞ্জি ট্রফি আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্যশালী ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। প্রত্যেক বছর প্রচুর প্রতিভা এই টুর্নামেন্টে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পায়। তাই কোনোভাবেই এই টুর্নামেন্টকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। সুস্থভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য় যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার সব নেওয়া হবে।''
করোনার প্রাদুর্ভাবে গত মরসুমে রঞ্জি টুর্নামেন্ট বন্ধ ছিল। এই মরসুমের সূচি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় স্থগিত করে দিতে হয়েছিল। দেশের সমস্ত রাজ্যের ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ভবিষ্যৎ কী? তবে এখনও টুর্নামেন্ট শুরুর বিষয়ে ঘোষণা করলেও নক আউট পর্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেখানে কোনও দলই নামী তারকাদের পাচ্ছে না আইপিএলের জন্য। সেক্ষেত্রে জৌলুস হারাতে পারে টুর্নামেন্টও। কেউ কেউ আবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, ৩৮ দলের টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিকে এত বিরাট জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে নিশ্ছিদ্র রাখা কতটা সম্ভব। বিশেষ করে যেখানে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের মতো আইসিসি ইভেন্টেও করোনার হানা দেখা যাচ্ছে।