BCCI vs PCB: এশিয়া কাপে ভারত না খেললে পাল্টা হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
BCCI vs PCB Update: পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমনকী তিনি এমনও বলেন যে পাকিস্তানে নয়, এশিয়া কাপ আয়োজিত করা হবে।
মুম্বই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরস্পর মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু তার আগে আরও একবার দ্বন্দ্ব লেগে গেল ২ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের। মুম্বইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ঘোষণা করে দেন যে আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমনকী তিনি এমনও বলেন যে পাকিস্তানে নয়, এশিয়া কাপ আয়োজিত করা হবে। আর এরপপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফেও হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে যে যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না আসে টিম ইন্ডিয়া, তবে তারাও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে না। এমনকী এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যপদও ছাড়তে রাজি তারা।
কী বলছেন জয় শাহ?
এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ''এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে কথাটা বলছি। আগামী বছর নিরপেক্ষ কেন্দ্রে এশিয়া কাপ হবে। আমাদের পাকিস্তান যাওয়ার উপায় নেই। আবার পাকিস্তানেরও ভারতে আসার উপায় নেই। তাই নিরপেক্ষ কেন্দ্রে যে ভাবে এশিয়া কাপ হয়েছে আগে, সে ভাবেই হবে।''
পাল্টা প্রতিক্রিয়া পিসিবির
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এরপর বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ''জয় শাহর একপেশেভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করাটা হতাশাজনক, এবং চমকপ্রদ। এসিসির বোর্ড মিটিংয়ের সময় পাকিস্তান পূর্ণ সমর্থন নিয়ে এশিয়া কাপ আয়োজনের অধিকার পেয়েছে। অথচ কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই যেভাবে জয় শাহ পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, সেটা একপেশে।''
এদিকে, বিসিসআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাতেই সৌরভের পরিবর্তে বিনিকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। সৌরভ শিবির অবশ্য তাকিয়েছিল তাঁকে আইসিসিতে পাঠানো হয় কি না, সেইদিকে। তবে, মঙ্গলবারের বৈঠকে এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হল না। শুধুমাত্র আলোচনা হল আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে কে যাবেন সেই নিয়ে। তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়নি। আইসিসির নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর আগে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। ফলে ভারতীয় বোর্ড থেকে আইসিসির চেযারম্যান পদে যে কেউ লড়বেন না, তা বলাই চলে। সেক্ষেত্রে বর্তমান চেয়ারম্যান জর্জ বার্কলেকে আরও একটি মেয়াদকাল (দুই বছর) সমর্থন করার পথেই হাঁটতে পারে বিসিসিআই। যে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল এবিপি লাইভ।