Fifa World Cup: আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবেন বেঞ্জেমা? কী বলছেন দেশঁ?
Qatar World Cup: গত বছরে উয়েফা ইউরোয় শুরুর দিকেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় ফ্রান্সকে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত।
দোহা: বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্য়াচে একাদশে ঢুকে পড়তে পারেন করিম বেঞ্জেমা। স্কোয়াডের অন্তর্ভূক্তই রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এমনকী মাদ্রিদে অনুশীলনও করেছেন তিনি।
ব্যালঁ ডি অর জয়ের পরই বেঞ্জেমা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর পরিবর্ত হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করেনি ফরাসি শিবির। ২৫ সদস্যের স্কোয়াড নিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে ফ্রান্স। সেমিফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ফাইনালেও পৌঁছে যায় তারা।
কী বলছেন দেশঁ?
বেঞ্জেমা কি একাদশে খেলবেন? সেই ইস্যুতে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ বলেন, ''আমি এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। পরের প্রশ্ন করুন।'' উল্লেখ্য, রাশিয়ায় ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতলেও সেই দলের সদস্য ছিলেন না বেঞ্জেমা। দেশঁর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল তাঁর। যদিও কাতার আসার আগে তা মিটিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এমনকী দুর্দান্ত ফর্মেও ছিলেন এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। কিন্তু কাতারে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চোট। কিন্তু ফাইনালের আগে তিনি সুস্থ। তবে কি মাঠে রবিবার দেখতে পাওয়া যাবে করিম বেঞ্জেমাকে? উত্তর পাওয়া যাবে সময় মতই।
কীভাবে ফাইনালে ফ্রান্স?
বিশ্বকাপ খেতাব ডিফেন্ড করার থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে দিদিয়ের দেশঁর ফ্রান্স দল। গত বছরে উয়েফা ইউরোয় শুরুর দিকেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় ফ্রান্সকে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত। মাত্র তৃতীয় দেশ হিসাবে পর পর দুই বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি কিলিয়ান এমবাপেদের সামনে। কোন পথে, কী ভাবে ফাইনালে পৌঁছল লে ব্লাঁ।
গ্রুপ পর্ব
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই এক গোল পিছিয়ে পড়েছিল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে অ্যাড্রিয়ান রাবিয়ো ও অলিভিয়ের জিহুর গোলে ম্যাচে লিড নিতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপে এবং জিহু যথাক্রমে তিন ও চার নম্বর গোলটি করে ৪-১ স্কোরলাইনে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ২-১ স্কোরলাইনে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্য়াচ জিতে নক আউটে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফ্রান্স। তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে দলে প্রচুর বদল ঘটান দেশঁ। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তিউনিশিয়ার অধিনায়ক ওয়াহাবি খাজরি ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান ম্যাচের শেষদিকে তিউনিশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দিলেও, তা বাতিল করা হয়। অবশ্য ফ্রান্স দল এই ম্যাচটিকে এক দুঃস্বপ্নের মতো খুব শীঘ্রই ভুলে যায়।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ফের জ্বলে উঠেন এমবাপে। জোড়া গোল করেন তিনি। ৩-১ ম্যাচটি জেতেন এমবাপেরা। শেষ আটের লড়াইয়ে অরিলিয়েন চাউমেনির দুরন্ত দূরপাল্লার শটে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে এগিয়ে যায়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন ৫৪ মিনিটে গোল করে থ্রি লায়ান্সকে সমতায় এনে দেন। ৭৮ মিনিটে জিহু ফের একবার গোল করে ফ্রান্সের লিড ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। পেনাল্টি মিস করেন কেন। ফ্রান্স ম্যাচ জিতে যায়।
সেমিফাইনাল
সেমিফাইনালে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন একজন ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ। পাঁচ মিনিটে তাঁর গোলেই ম্যাচে লিড নিয়ে নেয় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের এক দুরন্ত রান থেকে তাঁরই নেওয়া শটে ভাগ্যক্রমে কোলো মুয়ানির দখলে বল চলে আসে। পিচে মাত্র ৪৪ সেকেন্ড আগে নামা মুয়ানি, মরক্কোর কার্যত ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পরিবর্ত হিসাবে নামা কোনও খেলোয়াড়ের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। হাকিম জিয়েখরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ২-০ ম্যাচ জেতে ফ্রান্স।