Tokyo Olympics: মনপ্রীতদের সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কে গম্ভীর
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের তুলনায় নাকি হকিতে ভারতের সাফল্য সব সময় বেশি। গম্ভীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর পরও বিতর্ক।
নয়াদিল্লি: ৪১ বছর পর ভারতীয় হকি দল অলিম্পিক্সের মঞ্চে পদক জিতেছে। জার্মানিকে হারিয়ে বৃহস্পতিবারই অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতে নিয়েছে ভারতের পুরুষ হকি দল। ৫-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে মনপ্রীতরা তাঁদের প্রতিপক্ষদের। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীরও।
নিজের ট্যুইটারে গম্ভীর ভারতীয় হকি দলের প্রশংসা করতে গিয়ে এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা নিয়েই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ওপেনার লিখেছেন, ‘১৯৮৩, ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও হকিতে যে কোনও পদকই বড় সাফল্য।’
এই মন্তব্যের পরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ফাইনালে ভারতের জয়ের পেছনে মূল অবদান ছিল গম্ভীরের। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একজন ট্যুইটে লিখেছেন, ‘আপনি নিজেই ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন। এরপরও এমনটা বলছেন.. কেন?’
আরেকজন আবার আরও একধাপ এগিয়ে গম্ভীরের রাজনৈতিক সত্ত্বাকে টেনে এনেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই ট্যুইটটা অনেকটা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ট্যুইট মনে হচ্ছে। একজন ক্রীড়াব্যক্তিত্বের ট্যুইট কখনই মনে হচ্ছে না। কারও কৃতিত্বকে ছোটো করে দেখা উচিত নয়।’ আরও একজন প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন গম্ভীরের মতো একজন ক্রীড়াবিদ এভাবে দুটো আলাদা ফর্ম্যাটকে তুলনায় টেনে আনবেন।
এছাড়াও কেউ লিখেছেন যে, 'যেখানে আমরা দুটো সাফল্যকেই উদযাপন করতে পারি, সেখানে কেন এভাবে একটা সাফল্যকে দেখাতে গিয়ে আরেকটা সাফল্যকে ছোটো করা হবে।'
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে প্রুডেন্সিয়াল কাপ জিতেছিল কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। এরপর ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চেও ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে জয় হাসিল করে নেয় ভারত। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বে ফের একবার বিশ্বজয় করে ভারত। শেষ ২ বারই ভারতের জয়ের পেছনে অবদান ছিল গম্ভীরের। নিজে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।