BAN vs ZIM No Ball: কী কারণে নুরুল স্টাম্প করা সত্ত্বেও নট আউট হলেন জিম্বাবোয়ে ব্যাটার? কেন ডাকা হল নো বল?
BAN vs ZIM: ম্যাচে নো বলের নাটক সত্ত্বেও শেষমেশ বাংলাদেশই তিন রানে ম্যাচ জিতে নেয়। ব্লেজিং মুজারাবানি ফ্রি-হিটে ব্যাটে বলে সংযোগই ঘটাতে পারেননি।
গাব্বা: স্মরণীয় পারফরম্যান্স, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, চূড়ান্ত নাটক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবোয়ে (BAN vs ZIM) ম্যাচে কোনও কিছুরই অভাব। এক দুর্দান্ত ম্যাচের সাক্ষী থাকল গোট ক্রিকেটবিশ্ব। এই ম্যাচের শেষ বলে শেষ বলে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য় ৫ রানের প্রয়োজন ছিল। ব্লেসিং মুজারাবানি এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে স্টাপ আউট হন, বা সঠিকভাবে বলতে গেলে সবাই ভেবেছিল তিনি স্টাম্প আউট হয়েছেন। এমনকী খেলোয়াড়রা মাঠও ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নাটকীয়ভাবে সেই বলটিকে নো বল ডাকা হয়।
বোলারের পা ক্রিজের ভেতরেই ছিল, বলটি ব্যাটারের কোমর ওপরও ছিল না, এমনকী সঠিক সংখ্যক ফিল্ডাররাও ৩০ গজের বৃত্তে উপস্থিত ছিলেন। তাও কেন মুসাদ্দেকের ওই বলটিকে নো বল ডাকা হয়? কারণ রিপ্লেতে ধরা পড়ে নুরুল হাসান বল উইকেট পার করার আগেই তা দস্তানাবদ্ধ করে উইকেট ভেঙে দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নো বলে রান আউট করা গেলেও, স্টাম্প আউট করা যায় না। এখানে নুরুল মুজারাবানিকে স্টাম্প আউটের প্রচেষ্টা করেন। সেই কারণেই জিম্বাবোয়ে ব্যাটারকে আবার ক্রিজে ডেকে নেওয়া হয়।
রান আউট ও স্টাম্পিংয়ের পার্থক্য
ব্যাটার যদি রান নেওয়ার প্রচেষ্টার না থাকেন এবং উইকেটকিপার যদি অন্য কোনও ফিল্ডারের সাহায্য বা বল ধরার আগেই নিজেই উইকেট ভেঙে দেন, তাহলে সেটা স্টাম্প আউট হয়। অন্যক্ষেত্রে তা রান আউট হিসাবে বিবেচিত হয়।
কেন নো বল ডাকা হল?
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী বল বোলারের হাত থেকে ছাড়ার পর কিপারকে উইকেটের পিছন থেকেই দস্তানাবদ্ধ করতে হয়। অবশ্য ব্যাটার রান নেওয়ার প্রচেষ্টা করলে তিনি উইকেটের আগে এগিয়ে এসে বল ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। মুজারাবানি রান নেওয়ার চেষ্টাই করেননি। তাই নুরুল উইকেটের আগে বল ধরলে স্বাভাবিকভাবেই তা নো বল হয়। হয়েছেও তাই। যেহেতু মুজারাবানি রান নেওয়ার প্রয়াস করেনন, তাই এটি রান আউট হিসাবেও বিবেচিত হবে না। সেই কারণেই বলটিকে নো বল দেওয়া হয় এবং মুজারাবানি স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন ধরে নিয়ে তাঁকে আবার ক্রিজে নেন ডেকে নেন আম্পায়াররা।
অবশ্য লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মুজারাবানি ফ্রি-হিটেও ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ফলে ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে আট উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রানেই থেমে যায় জিম্বাবোয়ের ইনিংস। তিন রানে হাড্ডাহাড্ডি ম্য়াচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে আপাতত নিজেদের গ্রুপে দুই নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে হারিয়ে দিলে আজই সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে।
আরও পড়ুন: কাজে দিল না উইলিয়ামসের অর্ধশতরান, ৩ রানে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ