Nurul Hasan: ঠিক যেন রিঙ্কুর ইনিংসের হাইলাইটস, বিপিএলে শেষ ওভারে ২৬ তুলে ম্য়াচ জেতালেন নুরুল
BPL 2025: লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিততে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কাইল মার্সের সেই ওভারে ৩০ রান তুললেন নুরুল। হাঁকালেন তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা।
ঢাকা: আইপিএলের এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন রিঙ্কু সিংহ। অনেকটা তেমনই কাণ্ড ঘটিয়ে বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিলেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান। তবে মঞ্চটা বিপিএলের অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রান চেসের নায়ক হয়ে গেলেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক। শেষ ওভারে ফরচুন বড়িশালের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিততে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কাইল মার্সের সেই ওভারে ৩০ রান তুললেন নুরুল। হাঁকালেন তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড়িশালের দলটি ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান বোর্ডে তুলে নেয়। বড়িশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। নিজের ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনই। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ বলে ৪১ রান করেন।
বিশাল রানের লক্ষ্য়মাত্রা তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৬৬ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে প্রথমে রংপুরের দলকে টানেন ইফতিকার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজনেই ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে তাঁর আগে দুজনে মিলে ৫৩ বলে ৯১ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত শেষ ৬ বলে ২৬ রান প্রয়োজন ছিল রংপুর দলের। বোলিংয়ে ছিলেন কাইল মায়ার্স। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু বল হাতে একাই ম্য়াচ হারিয়ে দিলেন শেষ ওভারে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নুরুল। পরের দুটো বলে পরপর বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে লেগসাইডে ছক্কা হাঁকান ফের। পঞ্চম বলে কভারের ওপর দিয়ে সুন্দর করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে একেবারে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। কিন্তু ছক্কা হাঁকিয়ে ম্য়াচ শেষ করেন নুরুল। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থেকে যান।
View this post on Instagram
ম্য়াচ জিতিয়ে নুরুল বলছেন, ''আমি যখন ক্রিজে এসেছিলাম তখন খুশদিল আমাকে বলেছিল যে আমি পারব ম্য়াচটা জেতাতে। ঈশ্বরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ভীষণ খুশি। আমাদের যদিও মাটিতে পা রেখেই চলতে হবে। আগামী ম্য়াচেই এখন ফোকাস ধরে রাখার চেষ্টা করছি। টুর্নামেন্ট অনেক লম্বা। এখনও অনেক কিছুই হতে পারে। ইফতিকার ও খুশদিল দারুণ খেলেছে। ওঁদের পার্টনারশিপটা ম্য়াচের রাস্তা সহজ করে দেয় আমাদের জন্য। আশা করি আগামী ম্য়াচগুলোও ভাল হবে আমাদের।''