Ranji Trophy: ইডেনে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে আগরকরকে বার্তা শামির, বাংলার সামনে কত রানের লক্ষ্য?
Eden Gardens: বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়েছিলেন, শনিবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে একটা মারণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করবে বাংলা শিবির। তিনি সরাসরি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, সেই কথাও জানিয়েছিলেন।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: শুক্রবার সারাদিনের খেলায় ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) মোটে ৬ উইকেট পড়ার পর বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও যেন তৈরি হয়েছিল উৎকণ্ঠা। তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের স্কোর ছিল ১৬৫/২। ১১০ রানের খামতি মিটিয়ে বাংলার চেয়ে ৫৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। শনিবার বাকি আট উইকেট নিয়ে উত্তরাখণ্ড দুটো সেশন খেলে দিলে ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। সেক্ষেত্রে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বাংলাকে, এমন আশঙ্কার মেঘও উঁকিঝুঁকি মারছিল বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
যদিও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়েছিলেন, শনিবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে একটা মারণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করবে বাংলা শিবির। তিনি সরাসরি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, সেই কথাও জানিয়েছিলেন।
কোচের পেপ টক, নাকি খাতায় কলমে গ্রুপের অন্যতম দুর্বল দল উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কা, কোন মন্ত্রে জানা না গেলেও শনিবার প্রত্যাঘাত করল বাংলা। ১০০ রানের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের বাকি আট উইকেট তুলে নিলেন বাংলার বোলাররা। যার মধ্যে চার উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় দলের তারকা পেসার তৃতীয় দিন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সেদিনই আবার ভারতের সিনিয়র নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, 'শামি ফিট থাকলে ভারতীয় দলে থাকত।' যা শুনে দিনের খেলার শেষে মাঠ ছাড়ার সময় শামি বলেছিলেন, 'উনি যা খুশি বলুন।'
জবাব দেওয়ার জন্য শামি বেছে নিলেন বাইশ গজকে। ৪ উইকেট নিয়ে উত্তরাখণ্ডের সংকল্পের কোমর ভেঙে দিলেন ডানহাতি ফাস্টবোলার। ২টি করে উইকেট আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েলের। একটি করে উইকেট পেয়েছে বিশাল ভাটি ও সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল। শনিবার ১৯.৪ ওভারে বাকি আট উইকেট হারাল উত্তরাখণ্ড। তাও সপ্তম উইকেটে যুবরাজ চৌধুরী ও অভয় নেগি ৪৯ বলে ৬৪ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়ে উত্তরাখণ্ডের রান কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। ২৬৫ রানে শেষ হয় উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলার সামনে জয়ের লক্ষ্য ১৫৬ রানের। কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ করলে বোনাস সহ সাত পয়েন্ট অর্জনও সম্ভব। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্য এখন বোনাস পয়েন্ট নিয়ে ভাবছেন না। আপাতত ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট তুলে নিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু হোক, এই প্রার্থনাই চলছে। বোনাস এলে তা বাড়তি প্রাপ্তি।




















