Yusuf Pathan: যতদিন বাঁচব, বাংলার জন্য আর বাংলার মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করলাম, বলছেন ইউসুফ পাঠান
TMC: রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেই জায়ান্ট কিলার তকমা পেয়ে গিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা ভোটে বহরমপুর আসনে দাঁড়িয়ে হারিয়েছেন কংগ্রেসের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে।

কলকাতা: তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। ১৪ বছর আগে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের পর সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন। যে ছবি ভারতীয় ক্রিকেটে অমর হয়ে রয়েছে।
সেই ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan) এখন সক্রিয় রাজনীতিবিদ। এবং রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেই জায়ান্ট কিলার তকমা পেয়ে গিয়েছেন। হবে নাই বা কেন? তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি লোকসভা ভোটে বহরমপুর আসনে দাঁড়িয়ে হারিয়েছেন কংগ্রেসের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। সিনিয়র পাঠান জানিয়ে দিলেন, তিনি যত দিন বাঁচবেন, বাংলার মানুষের সেবা করে যাবেন।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ তৃণমূলের মেগা সমাবেশ। নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এক মঞ্চে ফের মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে ইউসুফ বললেন, 'নমস্কার, সলাম, আদাব। পশ্চিমবঙ্গ থেকে খুব ভালবাসা পেয়েছি। যখন আমি খেলতাম, সেই সাত বছর বাংলার সকলে ভালবেসেছেন। তারপর দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি আমাকে এমন একটা সুযোগ দিয়েছে যে, আপনাদের মধ্যে এসে, আপনাদের জন্য কাজ করতে পারছি। এখানকার পরিবারের অংশ করে নিয়েছেন আমাকে। প্রিয় দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর পুরো দলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের জন্যই এই মঞ্চে পৌঁছেছি।'
এরপরই সিনিয়র পাঠান বলেন, 'বহরমপুরকেও ধন্যবাদ জানাই কারণ আমাকে পরিবারের সদস্য করেছে। আমি এই মঞ্চ থেকে এটা বলতে চাই যে, দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্টি আমাকে যা বলবে, এখানকার মানুষের জন্য তাই করব। আমার বাকি জীবন, যতদিন বাঁচব, বাংলার জন্য আর বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। জয় বাংলা।' মঞ্চে বসে তখন মমতার মুখে অনাবিল হাসি।
দলের শীর্ষ স্তরে ক্ষমতার টানাপোড়েন-জল্পনার আবহেই বৈঠকের দিকে নজর সকলের। বৃহস্পতিবারের কর্মী সমাবেশে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মূল মঞ্চে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ছবি থাকছে। দলের ভরকেন্দ্র যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা এর মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের ভোটকে পাখির চোখ করে এই কর্মিসভা থেকে প্রয়োজনীয় বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে কর্মিসভা থেকে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে কড়া বার্তা আসবে তৃণমূলনেত্রীর তরফে?
আরও পড়ুন: ছিটকে গেল ইংল্যান্ড, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে আফগানিস্তান, অঙ্কটা কী?
















