IND vs WI: তাঁর সাফল্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে জো রুট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে শতরান করে দাবি জুরেলের
Dhuruv Jurel: ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে আমদাবাদে কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকান ধ্রুব জুরেল। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২৫ রানের ইনিংস।

আমদাবাদ: ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে তিনি কিপার-ব্যাটার হিসাবে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। সেই সুযোগটাকে একেবারে লুফে নিলেন ধ্রুব জুরেল (Dhuruv Jurel)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে (IND vs WI) আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকান জুরেল। তাঁর এই সাফল্যে ইংল্যান্ডের মহাতারকা জো রুটকেও কৃতিত্ব দিলেন জুরেল।
এক মরশুমের জন্য জো রুটের সঙ্গে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের সাজঘর ভাগ করেছিলেন জুরেল। তাঁর ব্যাটিংয়ে অল্প বিস্তর বদল ঘটিয়ে তাঁকে সাফল্য পেতে রুটের বড় অবদান রয়েছেন বলেই জানান জুরেল। তিনি ম্য়াচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমার ব্যাটিংয়ে যখনই কিছু সমস্যা হয়, তখনই আমি ওঁর কাছে যাই। বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ওঁ আমায় খুব সহজ ও ছোট ছোট কিছু সমাধান বলে দেন। ওঁ সবসময় বলেন যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। তবে প্রতিনিয়ত একই জিনিস করে গেলে, খাটা খাটনি করলে ফলাফল আসতে বাধ্য।'
আমদাবাদে তাঁর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাইলফলক স্পর্শ করার পর তাঁর সেলিব্রেশনও ছিল উল্লেখযোগ্য। জুরেল জানান তাঁর সেলিব্রেশনটা ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কার্গিলে লড়াই করা তাঁর বাবার উদ্দেশেই তিনি উৎসর্গ করেছেন। '৫০-র গণ্ডি পার করে স্যালুটটা ছিল আমরা বাবার জন্য। তবে শতরানের পরের সেলিব্রেশনটা বহুদিন ধরেই আমার মনের মধ্যে ছিল। আমরা মাঠে যেটা করি আর ওঁরা যুদ্ধের ময়দানে যা করে, তার মধ্যে কোনও তুলনাই সম্ভব নয়। আমি ওঁদের শ্রদ্ধা করি এবং ভবিষ্যতেও যা করব, ওঁদের কথা মাথায় রেখেই করব।' বলেন ভারতের কিপার-ব্যাটার।
ঋষভ পন্থের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে প্রথম ইনিংসে নিজের কিপিংয়ে একাধিক দুরন্ত টেক নেন জুরেল। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন তিনি। ব্যাটে নেমেও নিজের পরিপক্ক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়েন জুরেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১৯০ বলে নিজের কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকান জুরেল।
শুভমন গিল ও কেএল রাহুলের জমাটি পার্টনারশিপের পর পাঁচ নম্বরে ব্য়াট করতে নামেন ধ্রুব জুরেল। তিনি কিন্তু দারুণ পরিপক্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করেন। লাঞ্চের পরেই শতরান হাঁকানো কেএল রাহুল সাজঘরে ফিরলেও, জুরেল কিন্তু বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। দেখেশুনে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। জাডেজার সঙ্গে লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন। পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কার সুবদে জুরেল ৯১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তারপরে দেখতে দেখতে কার্যত অবলীলায় শতরানের গণ্ডিও পার করে ফেলেন। এই ইনিংস যে তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে তুলবে, তা বলাই বাহুল্য।




















