IND vs AUS: শেষবার অস্ট্রেলিয়ায় খেললেন বিরাট? কিং-কে বিশেষ বার্তা পাঠালেন কামিন্স
Pat Cummins On Virat Kohli: গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পারথে একটি সেঞ্চুরি বাদ দিলে বিরাটের ব্যাট একেবারেই চলেনি। বারবার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে আউট হয়েছেন।
সিডনি: ভারতীয় মিডিয়ায় চারিদিকে খবর শোনা যাচ্ছে এটাই নাকি অস্ট্রেলিয়ায় বিরাট কোহলির শেষ টেস্ট সিরিজ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই খবরটি কানে গিয়েছে তাঁর। আর তা শুনেই হতাশ হয়েছেন সদ্য বর্ডার গাওস্কর ট্রফি জেতা অজি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এমনটা হোক কোনওভাবেই চান না তিনি।
সিডনি টেস্ট জয়ের পরই কামিন্স সাংবাদিক বৈঠকে এসে জানান , "বিরাট অনবদ্য ক্রিকেটার। ওঁর বিরুদ্ধে খেলা সবসময় উপভোগ করি আমরা। মাঝে মাঝে রান করার বাইরেও বিরাট মাঠে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন, যাতে মানসিকভাবে প্রতিপক্ষ দল চাপে পড়ে যায়।"
কামিন্স আরও বলেন, "বিরাট আমাদের বিরুদ্ধে দারুণ পারফর্ম করেছে। যখনই ভারত আমাদের দেশে এসেছে। আমরা ভারতে গিয়েছি বিরাটকে নিয়ে গেমপ্ল্যান করতে হয়েছে আলাদা করে। বর্ডার গাওস্কর ট্রফির উচ্চতা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে ওঁ। গত এক যুগের সেরা ব্যাটার বিরাট। আমাদের দলের প্লেয়াররা ও আমি নিজেও ওঁর বিরুদ্ধে খেলা সবসময় উপভোগ করি। ভারতীয় দলে বিরাটের উইকেট পেলে আমরা জয়ের অনেক কাছাকাছি পৌঁছতে পারি।"
অস্ট্রেলিয়ায় ও সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ফর্ম্যাটে যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি, তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যেকেই বিরাটকে অবসরের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও অনেকে নতুন মুখকে জায়গা দেওয়ার জন্য বিরাটকে সরে যেতে বলেছেন। কামিন্স বলছেন, "আমি শুনতে পাচ্ছি চারিদিকে বিরাটের অবসর নিয়ে কথা উঠছে। যদি বিরাটের এটাই শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর হয়ে থাকে তাহলে আমাদের জন্য বিষয়টা খুব হতাশাজনক। আমরা চাইব ওঁ আগামী অজি সিরিজেও আসুক।"
এদিকে বিরাট, রোহিতের টেস্ট কেরিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীর। লাল বলের ফর্ম্য়াটে ভারতের সফর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ। যা ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে। সেই সিরিজের আগেই কি দল আমূল বদলে যাবে? গম্ভীর বলছেন, ''এখনই এই বিষয়ে বলা সম্ভব নয়। ৬ মাস অনেকটা সময়। তার মাঝে অনেক কিছুই বদলে যাবে। বিরাট ও রোহিত কারও ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েই কথা বলার আমি কেউ নই। ওঁরা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছে। ওঁরা জানে যে ভারতীয় ক্রিকেটের ভালর জন্য কী করা উচিৎ। তাই পুরো সিদ্ধান্তটা ওদের ওপর ছেড়ে দেওয়াই উচিৎ। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিক নিজেদের কেরিয়ারের বিষয়ে।"