ENG vs AUS: লজ্জার রেকর্ড বিশ্বজয়ী অজি পেসারের, লর্ডসে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে নজির লিভিংস্টোনের
Mitchell Starc: লিয়াম লিভিংস্টোনের সামনে রীতিমত ছন্নছাড়া লাগল অজি পেসারকে। ইংল্য়ান্ডও অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ওয়ান ডে ম্য়াচে ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল।
লর্ডসে: সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না মিচেল স্টার্কের। ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান হজম করার লজ্জার রেকর্ড গড়লেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের চতুর্থ ম্য়াচে এক ওভারে ২৮ রান খরচ করলেন ২ বারের ওয়ান ডে বিশ্বকাপজয়ী অজি পেসার। লিয়াম লিভিংস্টোনের সামনে রীতিমত ছন্নছাড়া লাগল অজি পেসারকে। ইংল্য়ান্ডও অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ওয়ান ডে ম্য়াচে ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল।
সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল অজিরা। এই পরিস্থিতিতে লর্ডসে চতুর্থ ওয়ান ডে ম্য়াচ হারলে ঘরের মাঠে সিরিজ খোয়াতে হত ইংল্যান্ডকে। হ্যারি ব্রুকের নেতৃত্বে এই সিরিজে খেলছে ইংল্যান্ড দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ৩৯ ওভারের ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩১২ রান তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যার নেপথ্যে বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনের অর্ধশতরান। ডাকেট ওপেনিংয়ে নেমে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। ব্রুক ৫৮ বলে ৮৭ রান করেন ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। তবে সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন অজি বোলারদের প্রতি লিয়াম লিভিংস্টোন। ২৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান বিধ্বংসী এই ব্যাটার।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেই ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান লিভিংস্টোন। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। এরপর টানা তিন বলে তিনটি ছক্কা ইংরেজ ব্যাটারের। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকান আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলা এই ব্যাটার। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করার পথে মাত্র ২৫ বল সময় নেন লিভিংস্টোন। লর্ডসে ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরান এটি।
View this post on Instagram
এই মাঠে ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে এক ম্য়াচে এতগুলো ছক্কাও কোনও ব্যাটার এর আগে হাঁকাননি। রান তাড়া করতে নেমে ২৪.৪ ওভারে ১২৬ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে কোনও ব্যাটারই ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ট্রাভিস হেড সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। এছাড়া স্মিথ, ম্য়াক্সওয়েলের মত সিনিয়ররা পুরো ফ্লপ।