Hardik Pandya: মুম্বই মুখ ফিরিয়েছিল একটা সময়, বিশ্বজয়ের পরে অভিজ্ঞতা কেমন হার্দিকের?
T20 World Cup 2024: টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে আইসিসির অলরাউন্ডাদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। ফাইনালেও বল হাতে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
মুম্বই: এই শহরই তাঁর দিকে আঙুল তুলেছিল একদিন। এই শহরে আইপিএলে অধিনায়কত্ব করতে নেমে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। শুধুমাত্র বিদ্রুপ নয়, হুমকিও পেয়েছিলেন। গ্যালারি থেকে উড়ে আসত ব্যাঙ্গাত্মক শব্দ। কিন্তু তিনি চুপ ছিলেন। গত ছয় মাসে হাজারো সমস্যা তিনি হাসিমুখেই সামলে নিয়েছিলেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বদলে দিয়েছে সব হিসেবে। ফাইনাল ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। গোটা টুর্নামেন্টে যখনই প্রয়োজন পড়েছে দলকে ভরসা জুগিয়েছেন। হার্দিক পাণ্ড্য আর ভিলেন নন, হয়ে উঠেছেন নয়নের মণি। যা নিজেও বেশ উপভোগ করছেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। বোর্ডের তরফে এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে হার্দিক বলছেন, ''এমন একটা মুহূর্ত, এমন একটা দলের অধিনায়ক হতে পেরে আমি গর্বিত। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমরা একটাই পরিশ্রম করেছিলাম, যাতে এমন খুশির মুহূর্ত তৈরি করতে পারি। এমন খুশি বিলিয়ে দিতে পারি সবাইকে। মুম্বই আমাদের বরণ করে নিয়েছে। মুম্বই সেরা। কোনও কথা হবে না।''
২০০৭, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই সময়ের স্মৃতি উসকে হার্দিক বলেন, ''আমি নিশ্চিতভাবে সেই সময়টায় রাস্তায় ছিলাম। এভাবেই হয়ত বরণ করেছিলাম ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। আমার কাছে এটা ভীষণ স্মরণীয় যে, ১৩ বছর পরে যখন ভারত আবার বিশ্বকাপ জিতল, তখন আমি সেই দলের অন্য়তম একজন সদস্য।''
View this post on Instagram
গত ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দেয় ভারত। সেই ম্য়াচে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। বিরাট কোহলি ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। অক্ষর পটেল ৩১ বলে ৪৭ রান করেন। শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রান করেন। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরা ২ উইকেট নেন। হার্দিক ৩ উইকেট নেন। শেষ ওভারে দুরন্ত ক্য়াচ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচের সেরা হন বিরাট ও সিরিজ সেরা হন বুমরা। এই বিশ্বকাপের পরই ফর্ম্য়াটকে বিদায় জানান রোহিত, বিরাট ও জাডেজা।