Anustup Majumdar: নতুন ব্যাটে বাজিমাত চন্দননগরের তারকার, রঞ্জিতে সেঞ্চুরি করে জানালেন সাফল্যের মন্ত্র
Bengal vs Karnataka: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সতেরোতম শতরান। আর যে কোনও দল নয়, ময়দানের রুকুর ব্যাট ঝলসে উঠস ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী দল কর্নাটকের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: দিনক্ষণ ধরে গণনা করতে বসলে বুধবার তাঁর বয়স হল ৪০ বছর ১৯০ দিন। কিন্তু চল্লিশে চালশের তত্ত্বকে বারবার যেন ব্যাটের চাবুকে মাঠের বাইরে ফেলছেন অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar)। ফের বাংলার জার্সিতে জ্বলে উঠলেন হুগলির চন্দননগরের তারকা ক্রিকেটার। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সতেরোতম শতরান। আর যে কোনও দল নয়, ময়দানের রুকুর ব্যাট ঝলসে উঠস ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী দল কর্নাটকের বিরুদ্ধে। তাঁর ব্যাটের দাপটেই বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৭৮ ওভারে ২৪৯/৫।
বয়সকে বারবার তুড়ি মেরে ওড়ানোর রহস্য কী? বেঙ্গালুরু থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে অনুষ্টুপ বললেন, 'বাংলার হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। বাংলার জার্সি গায়ে তোলার চেয়ে বড় মোটিভেশন আর হয় নাকি! সকলের এই সুযোগ হয় না।'
গত রঞ্জি ট্রফিতে তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দিয়েছিল সিএবি। এবার তৃতীয় ম্যাচে ফের সেঞ্চুরি (বাংলা বনাম বিহার ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল)। পয়মন্ত ব্যাট বলে আলাদা কিছু তুলে রাখেন নাকি? অনুষ্টুপ যে উত্তর দিলেন, সেটাও শিক্ষণীয় হতে পারে নতুন ক্রিকেটারদের কাছে। বললেন, 'আমি পিচ অনুযায়ী ব্যাট বাছাই করি। চিন্নাস্বামীর পিচে ভাল গতি রয়েছে। বাউন্স রয়েছে। বল পড়ে দ্রুত ব্য়াটে আসছে। তাই হাল্কা ব্যাট নিয়ে নেমেছিলাম। পিচ মন্থর হলে তখন ভারি ব্যাট নিয়ে নামি। আর বুধবার যে ব্যাটটিতে খেললাম, সেটি নতুন। আজই প্রথম খেললাম সেটি দিয়ে।'
আরও পড়ুন: কেকেআর ছেড়ে দিয়েছে, বাইশ গজে পরপর সেঞ্চুরি করে চলেছেন শ্রেয়স
১৭তম সেঞ্চুরি কতটা স্পেশ্যাল? অনুষ্টুপ বলছেন, 'ভাল লাগছে বড় দলের বিরুদ্ধে রান পেয়েছি বলে। তবে নক আউট পর্বে যেতে হলে চার ম্যাচের তিনটিতে জিততে হবে বাংলাকে। আমার সেঞ্চুরি যদি দলকে জেতাতে পারে, তবেই খুশি হব।'
প্রথম দিন মেঘলা আবহাওয়ার জন্য টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কর্নাটক। ৭৮ ওভার হয় সারাদিনে। অনুষ্টুপ ছাড়াও রান পেয়েছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৫৫) ও শাহবাজ আমেদ (৫৪ ব্যাটিং)। ক্রিজে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও (৬ ব্যাটিং)। অনুষ্টুপ বলছেন, 'এখান থেকে চারশো রান করতেই হবে আমাদের। ক্রিজে যারা রয়েছে, দুজনই আগ্রাসী ব্যাটিং করে। দ্রুত রান উঠবে। পেসাররা এই পিচে সাহায্য পাবে। দ্রুত বড় স্কোর তুলে ওদের অল আউট করার জন্য ঝাঁপাব।'
আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে রোহিত-কোহলিদের বিপর্যয়ের নেপথ্যে হুগলির এক বাঙালি!
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।