Ranji Trophy: ২৬ বছর ধরে চেষ্টার পর স্বপ্নপূরণ! গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে রঞ্জিতে বিরাট চমক বঢোদরার
Mumbai vs Baroda: বঢোদরার জয়ে আনন্দে ভাসছেন হার্দিক পাণ্ড্যও। দাদা ক্রুণালের পোস্টে হার্ট ইমোজি দিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
বঢোদরা: ঘরোয়া ক্রিকেটের দৈত্য বলা হয় তাদের। ৪১ বারের রঞ্জি (Ranji Trophy) চ্যাম্পিয়ন। গতবারও দেশের সেরা ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সদ্য অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশকে হারিয়ে ইরানি কাপ জিতেছে।
সেই মুম্বইকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে বিরাট চমক দিল বঢোদরা (Baroda vs Mumbai)। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত বঢোদরার ক্রিকেটারেরা। ক্রুণাল পাণ্ড্যরা মাঠেই সাফল্য সেলিব্রেট করলেন। সেই সঙ্গে এই জয় কতটা মধুর, তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন ক্রুণাল। লিখলেন, '২৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পারলাম। এই দলকে নিয়ে ভীষণ, ভীষণ গর্বিত। সমস্ত পরিশ্রম, সব নিষ্ঠার পুরস্কার পেল দল। এখান থেকে শুধু সামনে এগিয়ে চলার পালা।'
বঢোদরার জয়ে আনন্দে ভাসছেন হার্দিক পাণ্ড্যও। দাদা ক্রুণালের পোস্টে হার্ট ইমোজি দিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
শেষ দিন ম্যাচ জেতার জন্য মুম্বইয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ২২০ রানের। ১৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায় মুম্বই। ৮৪ রানে ম্যাচ জেতে বঢোদরা। বাঁহাতি স্পিনার ভার্গব ভাটের দাপটে শেষ দিন মুখ থুবড়ে পড়ল মুম্বইয়ের ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে চার উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিলেন ভার্গব।
সরফরাজ খান, মুশির খানের না থাকা ভোগাল মুম্বইকে। সরফরাজ খান নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য নির্বাচিত ভারতের টেস্ট দলে রয়েছেন। ইরানি কাপের আগে গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তাঁর ভাই তথা মুম্বইয়ের হয়ে ছন্দে থাকা মুশির খান। দু'জনকেই বঢোদরার বিরুদ্ধে ম্যাচে পায়নি মুম্বই। বঢোদরার বাঁ হাতি স্পিনার ভার্গবকে সামলাতে ব্যর্থ মুম্বইয়ের ব্যাটাররা।
প্রথম ইনিংসে বঢোদরাকে ২৯০ রানে অল আউট করে দিয়েছিল মুম্বই। জবাবে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ২১৪ রানে। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নিয়েছিলেন ক্রুণালরা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের মাত্র ১৮৫ রানে অল আউট করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই। চতুর্থ ইনিংসে ম্যাচ জেতার জন্য অজিঙ্ক রাহানেদের প্রয়োজন ছিল ২৬২ রান। ম্যাচের শেষ দিন হাতে ছিল ৮ উইকেট, প্রয়োজন ছিল ২২০ রান।
View this post on Instagram
সোমবার, ম্যাচের চতুর্থ দিনের শুরুতেই রাহানের উইকেট হারায় মুম্বই। শ্রেয়স আইয়ার প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩৭ বলে ৩০ রান। হাফসেঞ্চুরি করেন সিদ্ধেশ লাড। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ১৭৭ রানেই অল আউট হয়ে যায় মুম্বই।
আরও পড়ুন: বাগে পেয়ে হারানো গেল না উত্তর প্রদেশকে, ৩ পয়েন্টেও আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ বাংলা শিবিরে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।