Wriddhiman Saha: তিনি আসার পরই ঋদ্ধি জাতীয় দলে জায়গা হারিয়েছিলেন, পাপালিকে শুভেচ্ছাবার্তায় কী লিখলেন পন্থ?
Rishabh Pant On Wriddhiman Saha: দেশের জার্সিতে ধোনি পরবর্তী সময়ে উইকেটের পেছনে সবচেয়ে বিস্বস্ত সৈনিক বিরাটের। ঋদ্ধিকে তাঁর অবসর জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন ঋষভ পন্থ।

কলকাতা: রঞ্জি ট্রফিতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। কিন্তু এই জয়ের থেকেও বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একজনই। দেশের অন্যতম সেরা উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। নিজের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলে ফেললেন তিনি। শেষ দিনে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়লেন বাংলার পাপালি। বঙ্গ ক্রিকেটের বহু যুদ্ধের সৈনিক। দেশের জার্সিতে ধোনি পরবর্তী সময়ে উইকেটের পেছনে সবচেয়ে বিস্বস্ত সৈনিক বিরাটের। ঋদ্ধিকে তাঁর অবসর জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন ঋষভ পন্থ। ঋদ্ধির সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে বাঁহাতি উইকেট কিপার ব্যাটার লেখেন, '''একজন সহ উইকেটকিপার হিসেবে আমি সবসময় তোমার দক্ষতা এবং শিল্পের প্রশংসা করেছি। ঋদ্ধিমান দাদা, তোমার পরবর্তী জীবনে সাফল্য ও সুখ কামনা করছি। ভালো থেকো।''
ধোনি পরবর্তী সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলে উইকেটের পেছনে সবচেয়ে বিস্বস্ত সৈনিক ছিলেন ঋদ্ধিমান। দেশের জার্সিতে একাধিকবার উইকেটের পেছন থেকেই ম্য়াচের রং বদলে দিয়েছেন। বাংলার জার্সিতেও একাধিক ম্য়াচ জিতিয়েছেন। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলার দুরন্ত জয় এল। একই সঙ্গে কেরিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলে ফেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলা ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের সেবক ঋদ্ধিমানকে জয় দিয়ে বিদায় জানানো গেল। প্রথম ইনিংসে তাঁকে ১৩ ওভার কিপিং করতে দেখা গিয়েছিল। এদিনও অভিষেক পোড়েল ঋদ্ধিকে সম্মান জানাতে তাঁর হাতে কিপিং দস্তানা তুলে দেন। আর পাঞ্জাবের শেষ উইকেট পড়তেই তাঁকে তোলা হল কাঁধে। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইডেন গার্ডেন্সে উপস্থিত ছিল গোটা সাহা পরিবার। তাঁর স্ত্রী রোমি তো রোজই ম্যাচ দেখতে আসছিলেন। তবে ছেলে, মেয়ের স্কুল থাকায় তারা প্রথম দুই দিন আসতে পারেনি। আজ তারাও মাঠে ছিল এবং বাবার আবেগঘন ও স্মরণীয় এই বিদায় চাক্ষুষও করল।
পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিতলেও বাংলার পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব হল না। বাংলার পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছতে হলে কর্ণাটকের হরিয়ানার বিরুদ্ধে এক পয়েন্টের বেশি পাওয়া চলত না। হরিয়ানা প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় সম্ভবত তেমনটাই হতে চলেছে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে এলিট 'সি' গ্রুপের সম্ভবত সবথেকে দুর্বল দল বিহারের বিরুদ্ধে কেরলকেও পরাজিত হতে হত। তেমনটা তো হইনি, উল্টে কেরল ইনিংস এবং বোনাস পয়েন্টসহ ম্যাচ জেতে। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ায় ২৮, আর বাংলার ২১। ফলে অনুষ্টুপ মজুমদাররা আর পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারলেন না।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
