Rohit Sharma: ''একদিন ট্রেনে করে এই ওয়াংখেড়ে দেখতে আসতাম..", নিজের নামে স্ট্যান্ড দেখে আবেগতাড়িত রোহিত
Rohit Sharma Stand: রোহিতের ঝুলিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। শুধু বাকি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। যার লক্ষ্যেই ২০২৭ পর্যন্ত খেলাও চালিয়ে যেতে চান।

মুম্বই: ২০০৭ সালে ভারতীয় দলের জার্সিতে প্রথম অভিষেক। টি-টােয়েন্টি ও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে নজর কাড়লেও টেস্টে সুযোগ পেতে পেতে ২০১৩পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সচিনের বিদায়ী টেস্ট সিরিজেই সাদা পোশাকর ক্রিকেটে অভিষেক জাতীয় দলের জার্সিতে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অজস্র রেকর্ড, অসজ্র মাইলস্টোন ভাঙা গড়া। অধিনায়ক হিসেবে খুব কম সময়ে দেশের জার্সতে দুটো আইসিসি ট্রফি। রোহিত শর্মা হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের একজন। যার ঝুলিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। শুধু বাকি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। যার লক্ষ্যেই ২০২৭ পর্যন্ত খেলাও চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু তার আগে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সম্মানিত করা হল হিটম্য়ানকে। তাঁর নামে স্ট্যান্ড হল ওয়াংখেড়েতে। নিজের বাবা, মা, স্ত্রী-কে নিয়েই এসেছিলেন রোহিত। মঞ্চে উঠে ফিরে গেলেন ছোটবেলায়। ট্রেনে করে সফর করা এক মধ্যবিত্ত ছেলের ভারতীয় ক্রিকেটের মহীরুহ হয়ে ওঠা। লড়াইটা কঠিন ছিল। যেই লড়াইয়ের গল্প শোনাতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে গেলেন ৩৮ বছরের ডানহাতি এই ওপেনার।
নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রোহিত। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ''এটা দারুণ একটা অনুভূতি। যা মুখে প্রকাশ করা যাবে না। আমার এই স্ট্যান্ডের পেছনেই রেলওয়ের ট্র্যাক। আমার এখনও সেই সময়ের কথা মনে পড়ে যখন আমি ট্রেনে করে আসতাম এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের এক ঝলক দেখার জন্য। সেই দিনগুলো আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল ছিল।''
প্রথমবার যখন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঢুকেছিলেন রোহিত, সেই সময় সেখানে রঞ্জি ট্রফির অনুশীলন চলছিল, সে কথাও জানান রোহিত। তিনি বলেন, ''ট্রেন থেকে স্টেডিয়ামের ঝলক দেখা থেকে স্টেডিয়ামের গেট পর্যন্ত পৌঁছানো, আমার কাছে সবগুলোই আলাদা আলাদা ধাপ ছিল। ১৫ বছর বয়সে যখন আমি প্রথমবার এই মাঠে ঢুকেছিলাম, তখন এখানে রঞ্জি ট্রফির অনুশীলন চলছিল। দেখেছিলাম মুম্বই ক্রিকেটের স্টলওয়ার্টদের, তাঁরা তখন এই মাঠে অনুশীলন সারছিলেন। ধীরে ধীরে সেই মাঠে ঢোকা থেকে আজ আমার নামে স্ট্যান্ড। অসাধারণ অনুভূতি।''
রোহিত তাঁর বাবা-মাকে সামনে রেখেছিলেন, অন্যদিকে রীতিকা সেই সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী তিনি ক্যামেরার সামনে ধরা না পড়ার চেষ্টা করতে করতে চোখের জল মুছে ফেলেন। আবেগাপ্লুত হয়ে তাঁকে হাততালিও দিতে দেখা গিয়েছে। রোহিত শর্মার এই সম্মান প্রাপ্তির অনুষ্ঠানে শরদ পওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশও উপস্থিত ছিলেন।




















