SMAT 2025: সৈয়দ মুস্তাক আলিতে মহম্মদ সিরাজের আগুনে পারফরম্যান্স, নীতীশের হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও অন্ধ্রর হার
Syed Mushtaq Ali Trophy 2025: মুম্বইকে হারাল হায়দরাবাদ, অপরদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে জয় পেল মধ্যপ্রদেশ। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হাইস্কোরিং ম্যাচ জিতল ঝাড়খণ্ড।

নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একদিকে যেখানে অর্শদীপদের বোলিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেখানে ঠিক পরের দিনই বল হাতে আগুন ঝরালেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali Trophy 2025) সুপার লিগ ম্য়াচে সিরাজের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করেই তারকাখচিত মুম্বই দলকে হারাল হায়দরাবাদ।
মুম্বইয়ের হয়ে এদিন মাঠে নেমেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। তিনিই মুম্বইয়ের হয়ে সর্বাধিক ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তা সত্ত্বেও ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বই। অজিঙ্ক রাহানে নয় এবং সরফরাজ খান মাত্র পাঁচ রানে আউট হন। শার্দুল ঠাকুর তো খাতাই খুলতে পারেননি। সিরাজ বল হাতে আগুন ঝরিয়ে নিজের ৩.৫ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নেন। তনয় দুই উইকেট নিয়ে সিরাজকে যোগ্য সমর্থন দেন। জবাবে মাত্র ১১.৫ ওভারেই মাত্র এক উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। দলের হয়ে আমন ৫২ ও তন্ময় আগরওয়াল ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। এই ম্য়াচে দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য সিরাজকে ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হলেও তিনি তন্ময়ের হাতে নিজের ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেন।
অপরদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ বনাম মধ্যপ্রদেশের ব্যাটে নীতীশ কুমার রেড্ডির দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স সত্ত্বেও তাঁর দল হারল। তাঁর দল প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। তিনি ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। নীতীশ রেড্ডি তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে হর্ষ গাওলির উইকেট নেন, তিনি ৫ রান করেন। এটি ছিল মধ্য প্রদেশের প্রথম উইকেট। এর পরের বলে তিনি নতুন ব্যাটসম্যান হরপ্রীত সিংহ ভাটিয়াকে ক্যাচ আউট করেন। ওভারের শেষ বলে রেড্ডি অধিনায়ক রজত পাতিদারকে বোল্ড করেন। তবে ১১৩ রানের লক্ষ্য খুবই কম ছিল। শেষমেশ ১৭.৩ ওভারে ম্য়াচ জিতে মধ্যপ্রদেশ।
অপরদিকে, পাঞ্জাব বনাম ঝাড়খণ্ডের এক হাইস্কোরিং ম্যাচে সলিল আরোরা দুরন্ত শতরান হাঁকান। পাঞ্জাব এক সময়ে ২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেললেও শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৫ রান তোলে। সলিল ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ঝাড়খণ্ডের কুমার কুশাগ্রর ৪৬ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে ঝাড়খণ্ড দুরন্ত জয় পায়। কেকেআরের অনুকূল রায় ১৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক ঈশান কিষাণ খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। মাত্র ১৮.১ ওভারে ২৩৬ রান তুলে ফেলে।


















