T20 World Cup 2024: ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেই হাতে চোট, টুর্নামেন্টের আগেই চাপ বাড়ালেন বাংলাদেশ পেসার
Shoriful Islam: এখন শরিফুলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে খেলতে নামবে টাইগাররা। সেই ম্য়াচে কি আদৌ খেলতে পারবেন বাঁহাতি এই পেসার?
নিউ ইয়র্ক: ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্য়াচে হারতে হয়েছে গতকাল বাংলাদেশকে। ৬০ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রোহিত শর্মার দল। তবে হারের থেকেই চিন্তার কারণ বাংলাদেশ (Bangaldesh Cricket Team) শিবিরের জন্য শরিফুল ইসলামের (Shoriful Islam) চোট। নিজের ওভারেই হার্দিক পাণ্ড্যর মারা একটি শট আটকাতে গিয়েছিল শরিফুল (Shoriful Islam)। বাঁহাতি বোলারের বাঁহাতেই লেগেছিল বলটি। হাত সঙ্গে সঙ্গে ফুলে যায়। তবে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে যে ছয়টি সেলাই পড়েছে শরিফুলের। এখন শরিফুলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। আগামী ৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে খেলতে নামবে টাইগাররা। সেই ম্য়াচে কি আদৌ খেলতে পারবেন বাঁহাতি এই পেসার?
রোহিতদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্য়াচে গতকাল ৩.৫ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া শরিফুল। নিজের শেষ ওভারের পঞ্চম বলটি করার সময় হার্দিকের ফিরতি শট আটকানোর সময়ে নিজের বাঁহাতি আঘাত পান বঢোদরার অলরাউন্ডার। এরপরই দ্রুত ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের এই পেসার। শরিফুল যদি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে না পারেন তবে কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাক আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। মুস্তাফিজুর, তাসকিন আহমেদ ও তানজিন শাকিবের সঙ্গে শরিফুলও প্রথমসারির পেসার বাংলাদেশের।
দলের সঙ্গে রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে এসেছেন হাসান মাহমুদ। তিনিও পেসার। তাসকিন আহমেদ এখনও পুরোপুরি ফিট না থাকায় শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হয়ত এবার মাহমুদ ঢুকে পড়তে পারেন। যদি একান্তই টুর্নামেন্টে আর ফিরতে না পারেন, তবে হয়ত ১৫ সদস্যের দলে ঢুকে পড়বেন হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ''শরিফুলের শেষ ওভারে একটি বল ঠেকাতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গা, সেখানে একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে।''
গতকাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে একপেশে লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় দল। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮২ রান তুলে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২২ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।