Virat Kohli: টপকে গেলেন কালিস, দ্বিতীয় টেস্টে নতুন মাইলস্টোন কোহলির
IND vs WI, 2nd Test: পোর্ট অফ স্পেনে ব্য়াটিং করার সময় এই নজির গড়েন কোহলি। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের ৫০০ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
পোর্ট অফ স্পেন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং করার সময় আরও একটি মাইলস্টোন পেরিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। প্রথম টেস্টে শতরান মিস করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনের শেষে ৮৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন কিং কোহলি। আর এই রান করার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকায় প্রথম পাঁচে উঠে এলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তিনি টপকে গেলেন জ্যাক ক্যালিস। পোর্ট অফ স্পেনে ব্য়াটিং করার সময় এই নজির গড়েন কোহলি। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের ৫০০ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ ম্যাচ খেলে ২৫, ৫৪৮ রান করেছেন ৫৩.৬৭ গড়ে। ৭৫টি শতরান ও ১৩২টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন কিংগ কোহলি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫৪। জ্যাক কালিস ৫১৯ ম্যাচ খেলে ২৫, ৫৩৪ রান করেছেন। তিনি ৬২টি সেঞ্চুরি ও ১৪৯টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২৮৮/৪। দিনের প্রথম দুটো সেশন ভারতের থাকলেও তৃতীয় সেশনে দুর্দান্তভাবে ম্য়াচে কামব্যাক করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি। তিনি ৮৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রথম দিনের শেষে। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি ৩৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তবে ৮০ রানে আউট হয়ে শতরানের সুযোগ মিস করেন রোহিত শর্মা।
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ১০০ তম টেস্ট এটি। আর এই ঐতিহাসিক টেস্টে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের অভিষেক করেন মুকেশ কুমার। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার জার্সিতে খেলেন মুকেশ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও খেলতে দেখা গিয়েছেন আইপিএলে মুকেশকে। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংও করেছিলেন। যার জন্য ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলের টেস্ট ফর্ম্যাটে। গতকাল সুযোগ চলে আসে অভিষেকের। প্রথম দিনের শেষে ৮৭ রানে ব্য়াট করছেন বিরাট। ৩৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা।
এদিকে বিরাটের এই ৫০০ আন্তর্জাতিক ম্য়াচে নামার আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ''এটা দারুণ বিষয়। ও আমাদের এই দলেরই অনেকের জন্য তো বটেই, দেশের বহু অল্পবয়সি ছেলে, মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা। পরিসংখ্যানই তো ওর দক্ষতার প্রমাণ দেয়। কেবল পরিসংখ্যান দেখলেই ও কত বড় মাপের ব্যাটার, তা বোঝা যায়। মাঠের বাইরে ও ঠিক কতটা খাটাখাটনি করে, যেগুলো বাইরের কেউ দেখতে পায় না, তা একেবারে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এটাই তো ওকে ৫০০ ম্যাচ খেলতে সাহায্য করেছে। ও এখনও ভীষণ ফিট, প্রচুর এনার্জি রয়েছে ওর। ১২, ১৩ বছর ধরে ৫০০ ম্যাচ খেলার পরেও ওর মধ্যে যে মাঠে নামার উদ্দীপনাটা লক্ষ্য করা যায়, তা প্রশংসনীয়।''