Ranji Trophy: সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন ঋদ্ধি, পাঞ্জাবকে ইনিংসে হারিয়েও রঞ্জি সফর শেষ বাংলার
Wriddhiman Saha: প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার কিপিং করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচের তৃতীয় দিনও অভিষেক পোড়েল ঋদ্ধিকে সম্মান জানাতে তাঁর হাতে কিপিং দস্তানা তুলে দেন।

কলকাতা: বাংলার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর নাম অবশ্যই থাকবে। সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের সেরা কিপারও তিনি। সেই ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হল। সমর্থকদের কাঁধে চেপে ইডেনের ২২ গজ ছাড়লেন বহু যুদ্ধের ঘোড়া। দল ইনিংস ও ১৩ রানে জয়ও পেল। তাও কিছু যেন অধরাই রয়ে গেল।
পাঞ্জাব বনাম বাংলা রঞ্জি ম্যাচ (Ranji Trophy) শুরু হওয়ার আগেভাগেই বাংলা ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত মেনেই নিয়েছিলেন যে বাংলা আর পরবর্তী রাউন্ডে অলৌকিক কিছু না হলে পৌঁছতে পারবে না। সেইজন্যই ম্যাচের শুরুর দিন ঋদ্ধিমানকে বিশেষ সম্মান জানানো হয় সিএবির তরফে। শেষমেশ এই ম্যাচেই ক্রিকেটার ঋদ্ধির দৌড় থামল।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলা দল ১৫২ রানের বিরাট লিড নিতে সক্ষম হয়েছিল। দিনের খেলা শেষ হতে হতে বাংলা দল ম্য়াচে বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। পাঞ্জাবের স্কোর ছিল তিন উইকেটের বিনিময়ে ৬৪ রান। ৮৮ রানে পিছিয়ে ছিলেন প্রভসিমরণ সিংহরা। বাংলা আজকেই ম্যাচ জয়ের আশায় থাকা থাকলেও, এত দ্রুত তা হবে, সেটা সম্ভবত ভাবতে পারেননি তাঁরা। গতকাল ব্যাট হাতে নায়কোচিত ইনিংস খেলার পর আজ বল হাতে দলের হয়ে আগুন ঝরান সূরয। তাঁর নেওয়া চার উইকেটেই পাঞ্জাবের লোয়ার মিডল অর্ডারের কোমড় ভেঙে যায়। শেষমেশ ১৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব। সূরযের চার উইকেট ছাড়াও সুমিত মোহন্ত তিন উইকেট ও মহম্মদ কাইফ দুই উইকেট নেন।
তবে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব হল না। বাংলার পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছতে হলে কর্ণাটকের হরিয়ানার বিরুদ্ধে এক পয়েন্টের বেশি পাওয়া চলত না। হরিয়ানা প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় সম্ভবত তেমনটাই হতে চলেছে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে এলিট 'সি' গ্রুপের সম্ভবত সবথেকে দুর্বল দল বিহারের বিরুদ্ধে কেরলকেও পরাজিত হতে হত। তেমনটা তো হইনি, উল্টে কেরল ইনিংস এবং বোনাস পয়েন্টসহ ম্যাচ জেতে। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ায় ২৮, আর বাংলার ২১। ফলে অনুষ্টুপ মজুমদাররা আর পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারলেন না।
তবে অন্তত বাংলা ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের সেবক ঋদ্ধিমানকে জয় দিয়ে বিদায় জানানো গেল। প্রথম ইনিংসে তাঁকে ১৩ ওভার কিপিং করতে দেখা গিয়েছিল। এদিনও অভিষেক পোড়েল ঋদ্ধিকে সম্মান জানাতে তাঁর হাতে কিপিং দস্তানা তুলে দেন। আর পাঞ্জাবের শেষ উইকেট পড়তেই তাঁকে তোলা হল কাঁধে। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইডেন গার্ডেন্সে উপস্থিত ছিল গোটা সাহা পরিবার। তাঁর স্ত্রী রোমি তো রোজই ম্যাচ দেখতে আসছিলেন। তবে ছেলে, মেয়ের স্কুল থাকায় তারা প্রথম দুই দিন আসতে পারেনি। আজ তারাও মাঠে ছিল এবং বাবার আবেগঘন ও স্মরণীয় এই বিদায় চাক্ষুষও করল।
ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশাপাশি দুই ইনিংসে মোট আটটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন বাংলার নতুন তারকা সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল।
আরও পড়ুন: শিবম দুবের কনকাশন সাব হর্ষিত রানা, ম্যাচ হেরে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলারের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
