Virat Kohli: ''১৫ বছর পরেও সমান উত্তেজনা অনুভব করি..'', কেন এমন বললেন বিরাট?
Virat Kohli Update: সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে খেলতে নামবেন। এরপর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপেও বিরাটের দিকে নজর থাকবে।
বেঙ্গালুরু: ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন তিনি। দেখতে দেখতে ১৫টি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। হাজারো ঘাত-প্রতিঘাত, বিতর্ক তাঁর জীবনের সঙ্গী হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয়ে সবাই একমত। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্য়াটার। কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসেও প্রতিপক্ষ বোলারদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠেন তিনি বারবার। সামনেই এশিয়া কাপ। (Asia Cup 2023) তার প্রস্তুতিতে মগ্ন এই মুহূর্তে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এরপর বিশ্বকাপও রয়েছে। এখন বিরাটের বয়স ৩৪। পরের বিশ্বকাপে ৩৯ ছুঁইছুঁই হবেন। তাই কে বলতে পারে যে এটাই শেষ বিশ্বকাপও হতে পারে কিং কোহলির। তাই নিজের ১০০ শতাংশ দিতে মরিয়া থাকবেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে কোহলি জানিয়েছেন, ''আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে এখনও আমি সমান উত্তেজনা অনুভব করি। এখনও আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপেও (ODI World Cup 2023) আমাকে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। আমাকেও অনেক নতুন কিছু আয়ত্ত্ব করতে হবে। তা নিয়ে আমি অবগত।''
অধিনায়ক হিসেবে ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই স্বপ্নভঙ্গ হতে হয়েছিল। কিন্তু ব্যাটার হিসেবে তাঁর প্রতি যে সবার প্রত্যাশা প্রচুর তা বেশ ভাল করেই জানেন কোহলি। তিনি বলছেন, ''একটা চাপ সবসময় অনুভব করি আমি। ভক্তরা আমার থেকে সবসময় রান চাইছেন। দলেরও আমার প্রতি একটা ভরসা রয়েছে। আমি জানি সাধারণ মানুষের আমাকে নিয়ে একটা আবেগ কাজ করে। তাই আমি কখনওই তাঁদের আশাহত করতে চাই না। আর এটাও সত্যি একজন প্লেয়ার জয় ছাড়া কখনওই কিছু ভাবেনি। সবসময় যে জিততেই চায়।''
২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বিরাটের নেতৃত্বেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে যে ভারতীয় দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়, সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কোহলি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলছেন, ''আমার কেরিয়ারের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ২০১১ বিশ্বকাপ জয়। তখন আমার বয়স মাত্র ২৩ ছিল। আমি সেভাবে কিছুই বুঝতাম না যে এর মাহাত্ম্য কতটা। এরপর এতগুলো বিশ্বকাপ খেলেও আমরা জিততে পারিনি। তাই সাধারণ মানুষের আবেগের জায়গাটা বুঝি। ২০১১ সালে জয়ের গুরুত্ব কতটা ছিল আমাদের কাছে, তা বুঝতে পারি।''
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে খেলতে নামবেন। এরপর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপেও বিরাটের দিকে নজর থাকবে।