(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Bengal vs North East: নর্থ ইস্টকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফেরাই লক্ষ্য কুয়াদ্রাতের ছেলেদের
ISL 2024: ডিসেম্বরে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে নামার আগে চারটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষে পাঁচ নম্বর ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে জয়ে ফেরে কার্লস কুয়াদ্রাতের দল।
কলকাতা: এক সপ্তাহ আগেই কলকাতা ডার্বিতে ড্রয়ের পর লাল-হলুদ বাহিনীর লক্ষ্য এ বার জয়ে ফেরা। উল্টেদিকে লিগ তালিকায় তাদের চেয়ে এক ধাপ ওপরে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে যে একটিমাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি, সেটি এই নর্থইস্টের বিরুদ্ধেই এবং তাও নেহাৎ সাধারণ জয় নয়, ৫-০-য় জয়, যা এই লিগে আজ পর্যন্ত লাল-হলুদ বাহিনীর সবচেয়ে বড় জয়। শনিবার গুয়াহাটিতেও যদি ফের তাদের হারাতে পারে, তা হলে ‘ডাবল’-এর অধিকারী হবে লাল-হলুদ বাহিনী।
ডিসেম্বরে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে নামার আগে চারটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষে পাঁচ নম্বর ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে জয়ে ফেরে কার্লস কুয়াদ্রাতের দল। এ বারেও কি সে রকমই কিছু হতে চলেছে? সেরা ছয়ে প্রবেশ করতে গেলে এই ম্যাচে জেতা ছাড় কোনও উপায় নেই তাদের।
ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট এগিয়ে নর্থইস্ট। গত আটটি ম্যাচে টানা জয়হীন থেকেছে তারা। শুরুর দিকে চেন্নাইন এফসি ও জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ই এ বারের লিগে তাদের সম্বল। বাকি এগারোটি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতেই ড্র করেছে। সবক’টিরই ফল ১-১। এই অবস্থায় আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গলকে হারানো আদৌও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে কি না, সেটাই দেখার।
নতুন স্প্যানিশ কোচ হুয়ান পেদ্রো বেনালিকে ২০২৪-২৫ মরশুম পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ করেছে নর্থইস্ট। ফলে চাপমুক্ত হয়ে তিনি তাঁর নতুন প্রকল্প শুরু করেছেন। তার প্রতিফলনও পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি। কলিঙ্গ সুপার কাপে আইএসলের শীর্ষস্থানীয় দল কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-১-এ হারিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করে তারা। তার আগের ম্যাচেও জেতে বেনালির দল। তাতেও অবশ্য নক আউটে জায়গা হয়নি তাদের। তবে জয়ে ফেরার স্বাদ পেয়েছে নর্থইস্ট। কিন্তু আইএসএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতেই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ফের হারের মুখ দেখতে হয় তাদের।
পার্থিব গগৈ, নেস্টর আলবিয়াখ ছাড়া তাদের অন্যান্য ফুটবলারদের কাউকেই সে রকম বিপজ্জনক মনে হচ্ছে না। এই দুজনে মিলে দলকে পাঁচটি গোল দিয়েছেন। তবে পার্থিবও তাঁর হ্যাটট্রিকের পর থেকে যেন ক্রমশ ফিকে হয়ে পড়ছেন। গত ম্যাচে পার্থিবের পরিবর্তে রিদিম তালাঙকে নামানোর পরেই দলের ডানদিকের উইং দিয়ে আক্রমণে গতি আসে। আলবিয়াখের পরিবর্তে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টমি জুরিক নর্থইস্টের হয়ে প্রথম মাঠে নেমে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু গোলকিপার রেহনেশ দুর্দান্ত সেভ করায় তিনি গোল পাননি। তবে তাঁর মধ্যে যে সত্যিকারের নাম্বার নাইন খুঁজে পেয়েছে নর্থইস্ট, তা স্বীকার করেছেন কোচ বেনালি। এই স্ট্রাইকার ছন্দে চলে এলে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।