Euro Cup Updates: এরিকসেনের ঘটনা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে, শেষ চারে উঠে বললেন কাজার
এরিকসেন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও সেই ঘটনা আরও একতা বাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা ডেনমার্ক দলের। চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জিতে ইউরোর শেষ চারে ওঠার পর এমনই জানালেন দলের অধিনায়ক সাইমন কাজার।
বাকু: ইউরো কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আতঙ্ক তাড়া করেছিল ডেনমার্ককে। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসক ও সতীর্থদের তৎপরতায় যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান এরিকসেন। সেই ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ডেনমার্ককে।
এরিকসেন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও সেই ঘটনা আরেও একতা বাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা ডেনমার্ক দলের। ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে ওঠার পর এমনই জানালেন দলের অধিনায়ক সাইমন কাজার। তিনি বলেন, ‘সেদিনের ঘটনা আমাদের আরও বেশি করে একাত্ম করে দিয়েছিল। আমাদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। আমারা জানি আমাদের মধ্যে কেউ কোনও বিপদে পড়লে বাকিরা রয়েছে পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’
ফিনল্যান্ড ম্যাচে এরিকসেনের ঘটনার পর বেশ কিছু সময় খেলা স্থগিত রাখা হয়। গোটা স্টেডিয়ামের দর্শক, ২ দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ সবাই মিলে প্রার্থনা করছিলেন এরিকসেনের জন্য। অনফিল্ড ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব সামলানো কাজার সেদিন খারাপ সময়ে মাঠের বাইরেও সবসময় পাশে ছিলেন এরিকসেনের পরিবারের। কাজার বলেন, ‘ওয়েম্বলিতে খেলতে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম আমরা। আর এখন আমরা সেই লক্ষ্য পূরণও করে ফেললাম। তবে আমাদের আগামী ৪ দিনের মধ্যে ফের ম্যাচ রয়েছে। সেদিকেই ফোকাস আমাদের।’ ১৯৯২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ডেনমার্ক। এরপরে গত ২৯ বছরে প্রথমবার ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠলে ড্যানিশ ফুটবল টিম। চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়েই যেন ফের একবার নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে কাজারের দল।
ইউরো কাপে এবার ডেনমার্কের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, রাশিয়ার মত শক্তিশালী দল। সেখান থেকেই রাশিয়া ও ফিনল্যান্ডকে টেক্কা দিয়ে গ্রুপ বি থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় ডেনমার্ক। আগামী ৮ জুলাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলতে নামবে ডেনমার্ক।
ফেল্পসের ভক্ত, কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন ইতিহাস গড়া সাঁতারু সজন