(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
European Football: প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাস গড়লেন হালান্ড, সনের হ্যাটট্রিক, হারল বায়ার্ন মিউনিখ
Bayern Munich: গত তিন ম্যাচে ড্র করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এবার বুন্দেশলিগার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচ হেরে এক ধাক্কায় লিগ তালিকায় চার নম্বরে নেমে গেল।
নয়াদিল্লি: প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জার্সি গায়ে আরলিং হালান্ডের (Erling Haaland) গোলের ধারা অব্যাহত। উলভসের বিরুদ্ধে এ সপ্তাহের ম্যাচেও গোল করলেন নরওয়ের তারকা ফরোয়ার্ড। এই গোল করেই গড়ে ফেললেন ইতিহাসও। অপরদিকে, লেস্টার সিটিকে হাফ ডজন গোল দিল টটেনহ্যাম হটস্পার। ১৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক করলেন সন হিউং-মিন (Son Heung-Min)।
হালান্ডের ইতিহাস
নিজের পরিচিত মিডল্যান্ডসে ফিরেই গোলেও ফিরলেন ম্যান সিটির তারকা জ্যাক গ্রিলিশ। ম্যাচে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডেই উলভসের বিরুদ্ধে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে এগিয়ে দেন গ্রিলিশ। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে সিটির হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হালান্ড। এটি এ মরসুমে লিগে হালান্ডের ১১তম গোল। প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে নিজের প্রথম চার প্রিমিয়ার লিগ অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করে ইতিহাস গড়লেন হালান্ড। উলভসের ম্যাচে ফেরার আশা ৩৩ মিনিটের পরেই আরও ক্ষীণ হয়ে যায়। ন্যাথান কলিন্স ৩৩ মিনিটে গ্রিলিসের বিরুদ্ধে খারাপ ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন।
কেভিন ডি'ব্রুইনের পাস থেকে ফিল ফডেন ৬৯ মিনিটে সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ম্যাচে আর কোনও গোল না হওয়ায় ৩-০ জিতে যায় সিটি। তারা এখনও লিগে লিগে অপরাজিতই রয়েছে। ৭ ম্যাচ শেষে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষেও সিটিই। তবে লেস্টার সিটিকে ৬-২ গোলে হারিয়ে সিটির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে টটেনহ্যাম হটস্পারও। এদিন স্পার্সের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই হ্যাটট্রিক করেন সন। হালে গোস পাচ্ছিলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা ফরোয়ার্ড। তাঁকে এদিন প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। তার জবাব তিন গোল করেই দিলেন সন।
সনের হ্যাটট্রিক
ম্যাচের ছয় মিনিটে অবশ্য পেনাল্টি থেকে লেস্টারকে এগিয়ে দেন ইয়ুরি তিয়েলেম্যান্স। হ্যারি কেন আট মিনিটে স্পার্সকে সমতায় ফেরান। লেস্টার সিটিতে একদা লোনে খেলেছিলেন কেন। তারপর থেকেই নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বারবার জ্বলে উঠেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে লেস্টারের বিরুদ্ধে ১৮তম গোল করলেন কেন। আর কোনও ফুটবলার লিগে লেস্টারের বিরুদ্ধে এত গোল করেননি। এরিক ডায়ার ২১ মিনিটে স্পার্সকে এগিয়ে দেন। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই জেমস ম্যাডিসন গোল করায় ম্যাচ ২-২ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৭ মিনিটে রড্রিগো বেন্টানকুর স্পার্সকে ৩-২ এগিয়ে দেন। এরপর সন ঝড়। ৭৩, ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে গোল করেন সন। এই জয়ের পর কেবল গোলপার্থক্যেই সিটির থেকে পিছিয়ে রইলেন স্পার্স। অপরদিকে, বায়ার্ন মিউনিখ অগসবার্গের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হল। গত তিন ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে (Bayern Munich)। এবার অগসবার্গের কাছে হেরই গেল বায়ার্ন। ৫৯ মিনিটে মেরিম বেরিশা অগসবার্গের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।
একে ডর্টমুন্ড
শেষেরদিকে ইনজুরি টাইমে ম্যানুয়েল ন্যুয়ার বায়ার্নের হয়ে কর্ণারে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে উঠে আসেন। দুরন্ত হেডারও মারেন ন্যুয়ার। তবে অগসবার্গের গোলরক্ষক দুরন্ত সেভ করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। ফলে এক ধাক্কায় এক থেকে চার নম্বরে নেমে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ডার্বিতে শালকেকে ১-০ গোলে হারিয়ে আপাতত লিগ শীর্ষে রয়েছে। ১৭ বছর বয়সি ইউসুফা মৌকোকো ডর্টমুন্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন। তবে ম্যাচের মাঝেই ডর্টমুন্ড অধিনায়ক মার্কো রইস চোটের জেরে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। বিশ্বকাপে তাঁর খেলা নিয়েও বড় রকমের প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: লেওয়ানডস্কির জোড়া গোল, এলচের বিরুদ্ধে সহজ জয় বার্সার