(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Fifa Award: হালান্ডকে টেক্কা দিয়ে ফিফার বিচারে সেরা ফুটবলার মেসি, মহিলা ফুটবলে শিরোপা বোনমাতির
Fifa Award 2023: ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। তাঁর অধিনায়কত্বেই আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। এই দৌড়ে ছিলেন হালান্ড ও এমবাপে।
লন্ডন: ফিফার (Fifa) ২০২৩ সালের সেরা পুরুষ ফুটবলারের শিরোপা জিতলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। গত ৪ বছরে এই নিয়ে মোট ৩ বার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের তকমা পেলেন আর্জেন্তাইন সুপারস্টার। তাঁর সঙ্গে কড়া টক্কর ছিল আর্লিং হালান্ডের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে টেক্কা দিয়ে দিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্তিনার ফুটবল দলের অধিনায়ক। মহিলা ফুটবলারদের মধ্যে ফিফার সেরার টকমা পেলেন স্পেন ও বার্সার স্ট্রাইকার আইটানা বোনমাতি। কোচ হিসেবে পেপ গুয়ার্দিওয়ালা ফিফার সেরা বর্ষসেরা কোচের খেতাব জিতলেন। মহিলা ফুটবলে সেরা কোচের তকমা পেলেন ইংল্য়ান্ড ফুটবল দলের কোচ সারিনা উইগমেন। এই নিয়ে রেকর্ড চতুর্থবার এই শিরোপা জিতলেন সারিনা।
২০১৯ সালে প্রথমবার এই খেতাব জিতেছিলেন মেসি। ২০২০ ও ২০২১ সালে এই খেতাব জিতেছিলেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। এরপর গত বছরও তাঁর ভাগ্যেই জুটেছিল ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের শিরোপা। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও ফিফার সেরা প্লেয়ারের শিরোপা জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। পুরুষদের সেরা ফুটবলার বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সংবাদকর্মী ও বিশ্বব্যাপী ভক্তরা। মেসি এবং হালান্ড দুজনেই ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটে। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে সেরা মনোনীত হন মেসি। যদিও এদিন লন্ডনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মেসি। তাঁর হয়ে অ্যাওয়ার্ড নেন থিয়েরি অঁরি। উল্লেখ্য, মেসি নিজে হালান্ডকে ভোট দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ভোট দিয়েছিলেন মেসিকে।
উল্লেখ্য, পিএসজি ছেড়ে গত জুলাইয়ে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মিয়ামিতে। এরপর সেখানেও নিজের ফর্ম বজায় রেখেছেন। ৭ ম্য়াচে ১০ গোল এসেছে মেসির পা থেকে। সেই দলের হয়ে লিগস কাপ জেতেন মেসি।
এদিকে পেপ গুয়ার্দিওয়ালা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে গত মরশুমে টানা তিনটি খেতাব জিতেছেন। গোলকিপারদের মধ্যে‘দ্য বেস্ট’ এডারসন। ফিফা ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পায় ব্রাজিল। মহিলাদের বিভাগে ‘দ্য বেস্ট’ গোলকিপার হন মেরি আর্পস। টানা দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার পেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মেসি জানিয়েছিলেন যে আসন্ন কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আপাতত খেলা চালিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ''যত দিন মন থেকে ফুটবলটা উপভোগ করছি, তত দিনই খেলব। আমার লক্ষ্য এখন শুধু ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা । সময় বলবে আমি পরের বিশ্বকাপে থাকব কি না। সেই সময় আমার বয়স ৩৯ বছর হবে। তাতে বিশ্বকাপ খেলা কঠিন।''