এক্সপ্লোর
Advertisement
মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল লড়াই করবে, আশাবাদী সহকারী কোচ অ্যালেক্স অ্যামব্রোজ
মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে বাংলা থেকে একটি মেয়েই সুযোগ পেয়েছে। তার নাম অদ্রিজা সরখেল।
কলকাতা: সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো করোনা ভাইরাস অতিমারীর প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। পিছিয়ে গিয়েছে টোকিও অলিম্পিক্স সহ বহু প্রতিযোগিতা। অনেক প্রতিযোগিতা আবার এ বছরের মতো বাতিলও হয়ে গিয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপও পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের গোড়ায় হবে এই প্রতিযোগিতা। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির বিষয়ে নানা কথা জানালেন ভারতীয় দলের সহকারী কোচ প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালেক্স অ্যামব্রোজ। তিনি আরও জানালেন, বাংলার একজন মেয়েই ভারতীয় দলে আছে। তার নাম অদ্রিজা সরখেল।
ভারতীয় দলের প্রস্তুতি কেমন চলছে? এ বিষয়ে অ্যালেক্স জানালেন, ‘আমাদের দলের প্রস্তুতি ভালই চলছে। আমরা গত বছরের মে মাস থেকে প্রস্তুতি শিবির শুরু করি। গোটা দলকে এক জায়গায় রেখে প্রস্তুতি চলছিল। এক্সপোজার ট্রিপের বিষয়ে আমরা এআইএফএফ ও সাই-এর কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলে আমাদের ফুটবলাররা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। দল ভালই তৈরি হচ্ছে। আমরা বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে।’
করোনার জন্য বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় প্রস্তুতি কতটা ধাক্কা খেয়েছে? অ্যালেক্সের বক্তব্য, ‘শুধু আমাদেরই নয়, বিশ্বকাপে যে দলগুলি খেলছে, তাদের সবাইকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। গোটা দল একসঙ্গে অনুশীলন করছিল। সেই অবস্থা থেকে সবাইকে আলাদা জায়গায় থেকে একা একা অনুশীলন করতে হচ্ছে। ফুটবল দলগত খেলা। গোটা দলের একসঙ্গে থাকা, খেলার সব বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি। আশা করি দ্রুত প্রস্তুতি শিবির শুরু হবে আর আমরা আবার প্রস্তুতি শুরু করতে পারব।’
অ্যালেক্স আরও জানিয়েছেন, ‘সব খেলোয়াড়কেই অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের এই নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে। আমরাও সবার প্রস্তুতির বিষয়ে খবর নিচ্ছি। ওয়েবিনারে ওদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। অনলাইনে টিম মিটিং হচ্ছে। আমরা একসঙ্গে না থাকলেও, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে। বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা বেশি সময় পাচ্ছি। আমরা দলকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্যও সময় পাচ্ছি। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য আমাদের দলকে তৈরি করাই লক্ষ্য।’
২০১৭ সালে দেশের মাটিতে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। তিন ম্যাচে একটিমাত্র গোল করেছিল ভারত। এবার মেয়েদের দল কী করবে? অ্যালেক্স বলছেন, ‘ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের তুলনা করা ঠিক হবে না। এই বয়সে হার-জিত বড় কথা নয়, শিক্ষা নেওয়াটাই আসল। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা কয়েকজন ছেলে ইতিমধ্যেই সিনিয়র জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। ওদের মধ্যে কয়েকজন আইএসএল-এও দারুণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। এই ধরনের এক্সপোজার পেলে ওরা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলোয়াড় হয়ে উঠবে। তাই ওদের ওপর চাপ দেওয়া উচিত নয়। আমাদের এমন দল গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া উচিত, যারা শুধু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই করবে না, লড়াইও করবে। আমরা ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই। গত কয়েক বছরে ভারতীয় ফুটবলের অনেক উন্নতি হয়েছে। বেবি লিগের ফলে বাচ্চারা নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ছেলে ও মেয়েদের যুব দল এশিয়া ও বিশ্বস্তরের প্রতিযোগিতাগুলিতে যোগ দিয়ে উন্নতি করার সুযোগ পাচ্ছে। সিনিয়র দলও এখন অনেক বেশি এক্সপোজার পাচ্ছে।’
অ্যালেক্স ফুটবলার জীবনে সালগাঁওকর, ডেম্পো, ভাস্কো, মুম্বই এফসি-র মতো দলগুলির হয়ে খেলেছেন। তিনি ডেম্পোর হয়ে জাতীয় লিগও জিতেছেন। খেলা ছাড়ার পর তিনি আইএসএল-এর দল মুম্বই সিটি এফসি-র সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। অ্যালেক্সের মতে, আইএসএল-এ অনেক বিদেশি ফুটবলার ও কোচ আসায় ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হচ্ছে। নিজের রাজ্য গোয়ার ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী অ্যালেক্স।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement