Fifa: অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ আর্জেন্তিনা, ঘোষণা ফিফার
Fifa U20 World Cup: কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত আর্জেন্তিনায় অনুষ্ঠিত হবে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ।
বুয়েনস আয়ার্স: চলতি বছর অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করতে চলেছে আর্জেন্তিনা। ফিফার তরফে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়ে দেওয়া হল। প্রথমে ঠিক ছিল যে ইন্দোনেশিয়ায় হতে চলেছে এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত আর্জেন্তিনায় অনুষ্ঠিত হবে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। আগামী ২১ এপ্রিল জুরিখে অফিশিয়াল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এই বিষয়ে ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ''ফিফা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছে যে এই বছরে ফিফা অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ আর্জেন্তিনায় অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ জয়ী দেশে এই ধরনের একটি আসর আয়োজন ভবিষ্যতের তরুণ ফুটবলাদের জন্য নিজেদের প্রমাণের অনেক বড় একটি সুযোগ তৈরি হবে।''
উল্লেখ্য, ইজরায়েলের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে আপত্তি জানিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। যার ফলে স্থান বদলে আর্জেন্তিনায় এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিল ফিফা। সোমবার ফিফার ঘোষণার আগে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্জেন্তাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেয় সে দেশের সরকার। এখনও পর্যন্ত মোট ছয়বার অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে মেসির দেশ।
মোট ৬টি গ্রুপ থাকবে। প্রতিটি গ্রুপে ৪ টি করে দল থাকবে। ২০০৭ সালে শেষবার আর্জেন্তিনা এই টুর্নামেন্ট জিতেছিল। এর আগে ২০০১ সালে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনও করেছিল এই দেশ। তবে এই বারের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আর্জেন্তিনা। তাই আয়োজক হিসাবে প্রতিযোগিতায় এবার নামতে চলেছে মেসির উত্তরসূরিরা।
গত বছর কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। লিওনেল মেসি প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বজয় করেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল নীল সাদা ব্রিগেডের। তবে কাতার বিশ্বকাপে সেই অধরা মাধুরী পূর্ণ করেন মেসি। ৩৬ বছর পর ফের বিশ্বজয় আর্জেন্তিনার। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে বিশ্বকাপ নিয়ে যায় স্কালোনির দল। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও ট্র্যাজিক হিরো থাকতে হল এমবাপেকে। মেসি পেরেছিলেন, এবার তাঁর উত্তরসূরিরা পারবে? এবার তাঁর জুনিরদের পালা আরও একবার দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার।
এদিকে, একদল সমর্থক গত বছর মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের পর তা অবৈধ বলে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের শেষে ফল ছিল ৩-৩। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এই ফলাফলে ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের দু’লাখ সমর্থক। তাঁরা আর্জেন্টিনার প্রথম দু’টি গোলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, প্রথম দু’টি গোল পাইয়ে দেওয়া হয়েছে মেসিদের। সে জন্যই ফ্রান্স হেরে গিয়েছে। তাই আবার আয়োজন করা হোক ফাইনাল ম্যাচ।