Rodrigo De Paul: দেশ ও সমর্থকদের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দেব, সেমিফাইনালের আগে শপথ দি পলের
Qatar 2022: সেমিফাইনালেও দলের অন্যতম প্রধান ভরসা রদ্রিগো দি পল (Rodrigo De Paul)। আর্জেন্তিনার মাঝমাঠের সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করছে তাঁর ওপর।
দোহা: কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু উদ্বেগ কাটিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। সেমিফাইনালেও দলের অন্যতম প্রধান ভরসা রদ্রিগো দি পল (Rodrigo De Paul)। আর্জেন্তিনার মাঝমাঠের সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করছে তাঁর ওপর।
সেই রদ্রিগো দি পল সেমিফাইনালের আগে শপথ নিলেন, মাঠে নিজেদের সর্বস্ব নিংড়ে দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দি পল লিখেছেন, 'সমর্থকদের জন্য, দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। সবাই এককাট্টা হয়ে'। দি পলের বার্তা সকলের মন জিতে নিয়েছে। আর্জেন্তিনার সমর্থকরা বলছেন, দল উত্তেজনায় ফুটছে। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কখনও হারেনি আর্জেন্তিনা। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হার দিয়ে শুরু করেছিল এবারের অভিযান। কিন্তু তারপর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন লিওনেল মেসিরা। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে উঠে এসেছে সেমিফাইনালে। সেই জয়ের পর রদ্রিগো দি পল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রেশনের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই দি পলের অঙ্গীকার। যা আশাবাদী করে তুলছে সমর্থকদের।
মাঝমাঠের লড়াই
কাতার বিশ্বকাপে (Fifa World Cup 2022) ফুল ফোটাচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ। লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ ও মাতেও কোভাসেভিচ। যে ত্রয়ীকে নিয়ে ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ বলে দিচ্ছেন, 'বিশ্বের সেরা মাঝমাঠ আমাদের।' ব্রাজিলকে হারিয়ে উঠে দালিচ বলেছিলেন, 'আমরা ওদের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছিলাম। কখনও তাড়াহুড়ো করিনি। আমরা হয়তো বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি তবে যেটুকু করার করেছি।'
জুরানোভিচ বলছেন, 'ব্রোজোভিচ, মদ্রিচ ও কোভাসেভিচ মাঝমাঠে থাকা মানে ম্যাচের নব্বই শতাংশ আমরাই নিয়ন্ত্রণ করব।' ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও মাঝমাঠের দখল হারায়নি ক্রোয়েশিয়া। ৫০-৫০ বলের দখল রেখেছিল। ইউরোপের সেরা পর্বে ক্লাব ফুটবল খেলেন তিন তারকাই। আর সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।
লুকা মদ্রিচ। বয়স ৩৭। দশ বছর খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদে। জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে চারটি বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ১২০ মিনিট দাপটের সঙ্গে খেলেছেন।
মার্সেলো ব্রোজোভিচ। বয়স ৩০। ২০১৫ সাল থেকে খেলেন ইতালির লিগে। খেলছেন তৃতীয় বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে খেলেছেন ১২ ম্যাচে। রক্ষণ ও আক্রমণের যোগসূত্রের কাজ করেন।
মাতেও কোভাসিচ। বয়স ২৮। চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। এখন খেলছেন চেলসিতে। তাঁরও তৃতীয় বিশ্বকাপ। খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। মাঝমাঠের ফুটবলার। ডিফেন্স করতে পারেন। আবার আক্রমণে চমকে দিতে পারে।
২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনাকে ৩-০ হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ত্রয়ী। ব্রোজোভিচ খেলেন একটু পিছন থেকে। বল ধরে খেলেন। বাঁদিক থেকে কোভাসেভিচ খেলেন। মদ্রিচ অনেক স্বাধীনভাবে খেলেন। ত্রয়ীর মূল মন্ত্রই হল, লিওনেল মেসিকে বল ধরতে দেব না।
আরও পড়ুন: ''তুমি আমার কাছে সর্বকালের সেরা...'' ক্রিশ্চিয়ানোকে আবেগঘন বার্তা বিরাটের