East Bengal vs Mohun Bagan: বাঙালির ঐতিহ্যের ম্যাচে বাঙালি কম পড়িয়াছে! ডার্বিতে অভিনব দাবি উঠল গ্যালারিতে
ISL Derby: বাঙালি ফুটবলপ্রেমীরা চলতি মরশুমে সশরীরে মাঠে হাজির থেকে ডার্বি দেখার সুযোগ পেল শনিবার, ১৯ অক্টোবর। সল্ট লেকের যুবরভারতী স্টেডিয়ামে আইএসএলের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান।
কলকাতা: বলা হয়, বাঙালির ঐতিহ্য। যে ম্যাচকে ঘিরে দুভাগে ভাগ হয়ে যায় বাংলা। একদিকে ঘটি। অন্য দিকে বাঙাল। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ মানে যে শুধু ফুটবল মাঠের দ্বৈরথ নয়, আবেগের লড়াই। ইজ্জতের যুদ্ধ।
আর সেই ম্যাচে কি না বাঙালি ফুটবলারই কম পড়িয়াছে! যা নিয়ে প্রতিবাদের ধ্বনি উঠল শনিবারের গ্যালারিতে।
যুবভারতী স্টেডিয়ামে মরশুমের প্রথম ডার্বিটি হওয়ার কথা ছিল গত ১৮ অগাস্ট। ডুরান্ড কাপের ম্যাচে সেদিন মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব - ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (East Bengal vs Mohun Bagan Super Giant)। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ থামাতে সেই ম্যাচ আয়োজনে বেঁকে বসেছিল কলকাতা পুলিশ। জানিয়ে দিয়েছিল, ম্যাচের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ঝুঁকি না নিয়ে ডুরান্ড কাপের আয়োজকেরাও জানিয়ে দিয়েছিল, ডার্বি বাতিল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।
বাঙালি ফুটবলপ্রেমীরা তাই চলতি মরশুমে সশরীরে মাঠে হাজির থেকে ডার্বি দেখার সুযোগ পেল শনিবার, ১৯ অক্টোবর। সল্ট লেকের যুবরভারতী স্টেডিয়ামে আইএসএলের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আর সেই ম্যাচের মাঝেই গ্যালারিতে ফেস্টুন চোখে পড়ল। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি থেকে ঝোলানো বিশাল ফেস্টুনে জ্বলজ্বল করছে, 'গ্যালারি আজ বলছে ভাই, ডার্বিতে বাঙালি ফুটবলার চাই।'
মুহূর্তের মধ্যে সেই ফেস্টুন ভাইরাল হয়ে গেল। ঘটনা হচ্ছে, শনিবার দুই দলের প্রথম একাদশে ২২ জন ফুটবলারের মধ্যে মাত্র তিনজন বাঙালি। ইস্টবেঙ্গলে শৌভিক চক্রবর্তী ও প্রভাত লাকড়া। মোহনবাগানের প্রথম একাদশে শুধু অধিনায়ক শুভাশিস বসু। রিজার্ভ বেঞ্চেও দুই দলে তিনজন বাঙালি ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গলে পরিবর্ত গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার, সঙ্গে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মোহনবাগানে দীপেন্দু বিশ্বাস।
যে ম্যাচে এক সময় বাংলার ফুটবলারদের, বাঙালি ফুটবলারদের দাপট দেখা যেত, সেই ম্যাচ কার্যত বাঙালি শূন্য হতে বসেছে। গ্যালারিতে পুরনো ছবি ফেরানোর দাবি উঠল। কোন্নগর থেকে আসা এক প্রবীণ ফুটবল সমর্থক বলছিলেন, 'প্রায় ৪০ বছর ধরে ডার্বি দেখতে মাঠে আসছি। বাঙালি ফুটবলারদের এরকম নগণ্য উপস্থিতি বড় একটা দেখিনি।' নৈহাটির সঞ্জয় লাহা বলছেন, 'বাংলার ফুটবলের কঙ্কালসার ছবিটা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। ফুটবল প্রশাসকদের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। দুই বড় ক্লাবের কর্তাদেরও ভাবা উচিত।'
কর্তারা শুনছেন কি?
আরও পড়ুন: অভিশপ্ত ৯৯! পন্থই প্রথম নন, ভারতের আর কারা এই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।