Indian Football Team: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নিজেদের ডু অর ডাই ম্য়াচে আজ কাতারের বিরুদ্ধে নামবে ভারত
India vs Qatar: তৃতীয় রাউন্ডে ১৮টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, যেখানে প্রতি গ্রুপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে। ভারত এখন সেই দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কাজটা বেশ কঠিন।
দোহা: মরণ-বাঁচন ম্যাচ একেই বলে। ফিফা বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে এশীয় চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে জেতা ছাড়া কোনও উপায় নেই ভারতের। ফলে এই ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচের ভারতের।
কাতারকে রুখে দিতে পারলেও প্রথমবারের জন্য বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে উঠে ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা আছে ভারতের। কিন্তু তা সম্ভব হবে তখনই, যদি মঙ্গলবারের অপর ম্যাচে কুয়েত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ম্যাচও যদি অমীমাংসিত থাকে।
হিসেবটা এ রকম। বাছাই পর্বে গ্রুপ ‘এ’ তে ভারত পাঁচ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে রয়েছে। পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট পেয়ে চার নম্বরে কুয়েত। কাতারের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে চার নম্বরে থাকা আফগানিস্তান পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে। তাই আফগানিস্তান ও কুয়েতের মধ্যে ম্যাচ যদি ড্র হয়, তা হলে ভারতের পক্ষে এশীয় চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে ড্র করে তৃতীয় রাউন্ডের দরজা খুলে ফেলা সম্ভব। কারণ, গোল পার্থক্যে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অপর ম্যাচে ফয়সালা হলে অবশ্য ভারতের সামনে জয় ছাড়া কোনও রাস্তা থাকবে না। সেক্ষেত্রে তাদেরও শেষ ম্যাচে জিততে হবে।
বাছাই পর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডে মোট ৩৬টি দলকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে রয়েছে চারটি দল। তৃতীয় রাউন্ডে ১৮টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, যেখানে প্রতি গ্রুপে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে। ভারত এখন সেই দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কাজটা বেশ কঠিন।
কাজটা কঠিন হলেও ভারতীয় দলের কোচ স্টিমাচ আশাবাদী। সোমবার দোহায় তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “গত পাঁচ বছরে দলের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছি আমরা। যা আগে কখনও ছিল না। দলের ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। আমার বিশ্বাস, ওরা আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নামবে”।
এই ম্যাচে ফলের কথা না ভেবে ভারতীয় ফুটবলারদের উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন কোচ। বলেন, “ওদের আমি বলেছি, শুধু খেলাটা উপভোগ করো। এ ছাড়া আর কিছু চাই না। দেশের জন্য গর্বিত হয়ে খেলো এবং দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সুযোগ কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করো। কাল আমাদের কাছে ম্যাচের ৯০ মিনিটই সব এবং আমরা প্রয়োজন হলে মাঠে প্রাণ দিয়ে দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত”।
গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তরুণদের নিয়ে গড়া দল নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। হাসান আল হেদোস বা ফরোয়ার্ড আক্রম আফিফের মতো অভিজ্ঞরা এই দলে নেই। এমনিতেই গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে তারা। আর তা খোয়ানোর ভয় নেই তাদের। তাই কোচ টিনটিন মার্কেজ বিভিন্ন তরুণ ফুটবলারদের খেলিয়ে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য তাদের তৈরি করে নিচ্ছেন।
আফগানিস্তান ও কাতার ম্যাচে গোলশূন্য ড্র ভারতকে অবশ্যই প্রেরণা জোগাবে। হয়তো এই ম্যাচের ভিডিও তারা বারবার দেখেছে। কাতারের মতো দলকে কী ভাবে আটকে রাখতে হয়, তা হয়তো আফানিস্তানের খেলা দেখে শিখেছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতেরা। সত্যিই যদি সেই শিক্ষা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেন তাঁরা, তা হলে অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে ভারত। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া