Fifa World Cup: ঝাঁ চকচকে রুম, কাতারে মেসির অন্দরমহলে উঁকি মারবেন?
Qatar World Cup: এই মুহূর্তে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আর্জেন্তিনা শিবির। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো হার মানাবে যে কোনও পাঁচতারা হোটেলে।
দোহা: কাতারে শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবল যুদ্ধ। আর্জেন্তিনা (Argentina) নামতে চলেছে তাঁদের প্রথম ম্য়াচে সৌদি আরবের (Saudi Arab) বিরুদ্ধে। আগামী ২২ তারিখ সেই ম্যাচ। এই মুহূর্তে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আর্জেন্তিনা শিবির। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো হার মানাবে যে কোনও পাঁচতারা হোটেলকে।
ফিফার তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে মেসির বেডরুমের ক্লিপিংস রয়েছে। দুটো ডিভান ছাড়াও দেখা যাচ্ছে একটি এলইডি টিভি। এছাড়াও ইলেকট্রিক কেটেল রয়েছে। ক্লিপিংসে দেখা যাচ্ছে মেসির শুয়ে শুয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। যদিও এটি প্রতীকী ছবি।
আসলে কাতারে অনেক বিষয় নিয়েই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে হোটেলগুলোতে। সেখানে বিফ বারবিকিউ খাওয়া নিষিদ্ধ। তাই হোটেল থাকার পক্ষে রাজি হয়নি নীল সাদা শিবির। জানা গিয়েছে, মেসিরা তাঁদের সঙ্গে ৯০০ কেজি মাংসও নিয়ে গিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিজেদের পছন্দের মত বারবিকিউ খেতে পারবেন তাঁরা। তবে থাকার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কারণ একটি পাঁচতারা হোটেলে যা যা সুবিধে তা সবই ক্যাম্পাসে পেয়ে যাচ্ছে স্কালোনির দল। আন্তর্জাতিক মানের একটি স্টেডিয়াম, অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত খেলার মাঠ, রানিং ট্র্যাক, অ্যাথলেটিক স্পোর্টস সেন্টার, তিনটি সুইমিংপুল সমৃদ্ধ অ্যাকুয়াটিক সেন্টার, অলিম্পিক পুল, ডাইভিং পুল এবং জিমনেশিয়ামসহ প্রায় সব সুবিধাই রয়েছে। খোলা আকাশের নীচে রান্নার সুবন্দােবস্ত রয়েছে। সেখানে রান্নার জন্য শেফও নিয়ে এসেছেন মেসিরা। নিজেদের পছন্দের মত খাওয়ার বানিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা। হোটেল যা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
আজ ইংল্য়ান্ডের সামনে ইরান
থ্রি লায়ন্সের বিশ্বকাপ অভিযান। এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দেশ। ২০১৮-তে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। আর, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। হ্যারি কেন অ্যান্ড কোম্পানির দুর্দান্ত পারফরমেন্স সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে খালি হাতে ফিরে আসা। কোথায় যে ফাঁক রয়ে যায়! তবু, ইরানকে উড়িয়েই কাতারে একটা দুর্দান্ত শুরু করতে চায় গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। সেজন্য কোচের বাজি অবশ্যই ক্যাপ্টেন হ্যারি কেন।
হ্যারি কেন। দেশের হয়ে ৭৫ টি ম্যাচে করেছেন ৫১ টি গোল। গত বিশ্বকাপের টপ স্কোরার। করেছিলেন ৬ গোল। তবে, কেভিন ফিলিপস্, কাইল ওয়াকারদের চোট-সমস্যা ভাবাচ্ছে ইংলিশ কোচকে। ভরসা বহুযুদ্ধের পোড় খাওয়া নায়ক রহিম স্টার্লিং। সুযোগ পেলে হিসেব উল্টে দিতে পারেন বিস্ময় প্রতিভা ফিল ফডেনও। যুব বিশ্বকাপে যাঁর স্কিলের সাক্ষী রয়েছে ভারত।