Hockey Bronze Medal: সোনা হাতছাড়া হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন হরমনপ্রীত, শ্রীজেশকে ব্রোঞ্জ উৎসর্গ মনপ্রীতের
Paris Olympics 2024: কিন্তু এখনও সোনা হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে হরমনপ্রীতকে। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয়ের পর ভারত অধিনায়ক মুখ খুললেন।
প্যারিস: অলিম্পিক্সে হকিতে ফের পদক ভারতের। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার। টোকিওর পর প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারতীয় হকি দল। ম্য়াচে জোড়া গোল করেছেন হরমনপ্রীত সিংহ। ভারত অধিনায়কের স্টিকের গোলেই পদক এসেছে। কিন্তু এখনও সোনা হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে হরমনপ্রীতকে। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয়ের পর ভারত অধিনায়ক সম্প্রচারকারী স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে জানান, ''আমি ভারতবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রথমেই। সোনা হাতছাড়া হওয়ার জন্য। এখানে যাঁরা দেখতে এসেছেন তাঁদের অনেক আশা থাকে। আমরা মাঠে নামি সবসময় জেতার জন্য নামি। সোনা জয়ের লক্ষ্য ছিল, কিন্তু পারিনি।''
হরমনপ্রীত আরও বলেন, ''এই পদক আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। গোটা দেশের বিশাল প্রাপ্তি। অলিম্পিক্স এমন একটা টুর্নামেন্ট, যার জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব নিঁখুতভাবে সামলেছে। ভাল লাগে শেষ ম্য়াচে এভাবে জিততে পারলে। সোনা হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু ব্রোঞ্জ জিতে ফিরতে পারছি আমরা। এমকী টানা দ্বিতীয়বার।''
টোকিও না প্যারিস, কোন অলিম্পিক্সের পদককে এগিয়ে রাখবেন? হরমনপ্রীত বলছেন, ''টোকিও হোক প্যারিস। দুটো মেডেলই আমাদের জন্য় গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও দলকে হারাতে পারি, এই বিশ্বাস ছিল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম।'' দেশে অলিম্পিক্সের প্রসারও চাইছেন ভারত অধিনায়ক। তিনি বলছেন, ''আমি পুরো দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করব যে আমাদের পাশে থাকুন। হকিকে আরও সমর্থন করুন। আমরা আরও পরিশ্রম করতে চাই। দেশের জন্য আরও পদক আনতে চাই। আশা করি আগামীতে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারব।''
ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনপ্রীত বলছেন, ''এই ব্রোঞ্জ শ্রীজেশকে উৎসর্গ করতে চাই আমরা পুরো হকি দল। ১৩ বছর ওঁর সঙ্গে খেলেছি। ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি আমরা। এখান থেকে খালি হাতে কোনও ভাবেই যেতে চাইছিলাম না। গোটা দেশ সমর্থন করেছে। তাই আমরা আরও অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।''
স্পেনের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। চাপ অনুভব করছিলেন? মনপ্রীত বলছেন, ''কঠিন চ্য়ালেঞ্জের মুখে বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছিল। কিন্তু আমরা এত পরিশ্রম করেছি। গত চার বছর ধরে নিজেদের গড়েছিলাম। টোকিওর পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। তাই ভুল আর করতে চাইনি। শেষ পর্যন্ত লড়ে পদক জেতাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য।''