Asia Cup Final: অর্ধশতরান স্মৃতির, রিচার ব্যাটে ঝড়, এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত বোর্ডে তুলল ১৬৫/৬
INDW vs SLW: এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। শুরুতে শেফালি ও স্মৃতিই ওপেনিং জুটি হিসেবে নেমেছিলেন।
ডাম্বুলা: মহিলাদের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৫/৬ বোর্ডে তুলল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ৬০ রানের দুরন্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন স্মৃতি মন্ধানা। জেমিমা রডরিগেজ ২৯ ও রিচা ঘোষ লোয়ার অর্ডারে নেমে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। যদিও রান পেলেন না ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। শুরুতে শেফালি ও স্মৃতি ওপেনে নেমে চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেফালি বেশিক্ষণ ক্রিজে সেট থাকতে পারেননি। তিনি ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। উমা ছেত্রী ৯ রান করেন। রান পাননি হরমনপ্রীত কৌরও। ১১ বলে ১১ রান করে প্যাভলিয়নে ফেরেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন। এরপর জেমিমা রডরিগেজকে নিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন স্মৃতি। তিনি ৪৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি বাউন্ডারি হাঁকান স্মৃতি নিজের ইনিংস। জেমিমাও ভাল এগোচ্ছিলেন। কিন্তু স্মৃতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুূঝিতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। ১৬ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে একটা সময় মনে হচ্ছিল যে আদৌ দেড়শো রানের গণ্ডি পেরতে পারবে কি না ভারত। কিন্তু সেখান থেকে রিচা ঘোষ ১৪ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মূলত রিচার মারমুখি ব্যাটিংয়েই শেষ পর্য়ন্ত ২০ ওভারে ১৬৫ তে পৌঁছে যায় ভারতের ইনিংস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সেমিফাইনালের দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তবে রবিবার ম্যাচের সময় দাম্বুলার আকাশ একেবারে পরিস্কার থাকার পূর্বাভাস। অর্থাৎ গোটা ৪০ ওভারের ম্যাচ কিন্তু আমরা দেখতে পারি। ম্যাচের সময়টা কিন্তু আদ্রর্তা ভীষণ পরিমাণে থাকার সম্ভাবনা। আর পিচের দিকে তাকিয়ে যতটা যা বোঝা গিয়েছিল যে হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কা বিশ ওভারের ফর্ম্যাটে ২৪ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে কিন্তু ভারতেরই পাল্লা ভারি। ওমেন ইন ব্লু দ্বীপরাষ্ট্রের দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে ১৯টি ম্যাচ জিতেছে। শ্রীলঙ্কা জিতেছে চারটি ম্যাচ। একটি ম্যাচ অমীমাংসিতই শেষ হয়। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যেও মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের ঘরের মাঠেও দ্বীপরাষ্ট্রের রেকর্ড ভারতের বিরুদ্ধে হতাশাজনকই। ঘরের মাঠেও নয় ম্যাচের সাতটিতেই হারতে হয়েছে লঙ্কান দলকে।