ইডেনে গৌতম গম্ভীরের দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৭১ রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স
কলকাতা: পুরনো দলের বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধে হারলেন গৌতম গম্ভীর। সোমবার, ইডেন গার্ডেন্সে গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৭১ রানে হারাল দীনেশ কার্তিকের কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর-এর করা ২০০ রানের জবাবে মাত্র ১২৯ রানেই অল আউট হয়ে যায় গম্ভীর-বাহিনী।
এদিন টসে জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। শুরুটা বেশ ধীরগতির করেন দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। প্রথম ওভার মেডেন যায়। এদিন ফের ব্যর্থ নারিন (১)। দেখে মনে হচ্ছিল, নারিনকে আটকে রাখার মন্ত্র পেয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ দলগুলি। ক্রিস লিনও (২৯ বলে ৩১) ছন্দে ছিলেন না। তিন নম্বরে রবিন উথাপ্পা নামার পর রানের গতি বৃদ্ধি পায়। ভালই চালাচ্ছিলেন উথাপ্পা (১৯ বলে ৩৫)। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩টি ছয় ও ২টি চারে। উথাপ্পা আউট হওয়ার পর নামেন নীতীশ রাণা। চলতি বছর কেকেআর দলের ইতিমধ্যেই নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। এদিনও তার জাতের পরিচয় দিলেন। ৫টা চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ৩৫ বলে তাঁর ৫৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। সেই ভিতের সুযোগ নেন কলকাতার ‘ক্রিস গেইল’ আন্দ্রে রাসেল। এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন এই ক্যারিবীয়। ১২ বলে ৪১ রানেপ ওই ইনিংস যেন ইডেনে ঝড় তুলে দেয়। মারেন ৬টি বিশাল ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০ রান করে কেকেআর।
২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু, পরপর উইকেট হারিয়ে খেলা থেকে ছিটকে যায় দিল্লি। ঋষভ পন্ত (২৬ বলে ৪৩) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২২ বলে ৪৭) ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যান কেকেআর-এর স্পিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। বলা ভাল, এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউ দুঅঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। ফলে, কোনও সময়েই মনে হয়নি যে দিল্লি এই ম্যাচ জিততে পারে। ফলত, মাত্র ১৪.২ ওভারে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। অন্যদিকে, আগের দুটি ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন বেশ আঁটোসাঁটো বোলিং করে নাইটরা। দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও কুলদীপ যাদব ৩টি করে উইকেট দখল করেন। পীযূষ চাওলা, আন্দ্রে রাসেল, শিবম মাভি ও টম কুরান দখল করেন একটি করে উইকেট।
ম্যাচ শুরুর আগে ইডেনে নেমে বেশ আবেগন হয়ে পড়েন গম্ভীর। এবার নাইট রাইডার্স নয়, দিল্লি ডেয়ারডভিলসের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন গোতি। গত ৬ বছর যে দলের অধিনায়ক ছিলেন, আজ সেই দলের বিরুদ্ধেই খেলেন গম্ভীর। খেলা শুরুর আগে, নিজের অনুভূতির কথা স্বীকারও করেন তিনি। বলেন, সাকা দেশের মধ্যে কলকাতার ফ্যানবেসের আনুগত্য প্রশ্নাতীত।