হাফ ডজন হার, ‘কোনও অজুহাত দেব না’, হাল ছাড়লেন বিরাট
হতাশ বিরাট করুণ মুখে বলছেন, “দলকে এর থেকে বেশি আর কী-ই বা বলা যায়। প্রত্যেককে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছি। এখনও পর্যন্ত সেটা দেখতে পাইনি এবং এটা বাস্তব। উদ্যমী ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে আর কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না।”
বেঙ্গালুরু: হতাশ। বিমর্ষ। অসহায়। একা। আগ্রাসনের নাম মাত্র নেই। হাফ ডজন হারের মালা পরে কোন অধিনায়কই বা উত্ফুল্ল হবেন? কার মুখেই বা হাসি থাকবে? পার্থিব, এবিডি, মার্কস স্টোয়নিস, মইন আলি, টিম সাউদি, যুজবেন্দ্র চহাল, মহম্মদ সিরাজ সবাই খেলছেন, তবে দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতাতে পারছেন না। এমনকি খোদ বিরাটও পারছেন না। রান করছেন, কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতাতে পারছেন না। পরপর ৬টা ম্যাচ, আরসিবি হারল। আইপিএলের ইতিহাসে বেঙ্গালুরুরর এটাই সবথেকে কদাকার পারফরম্যান্স। এর আগে মরশুমের শুরুতেই ৬ ম্যাচ হারের বিরল নজির গড়েছিল দিল্লি। ২০১৩ সালের সেই রেকর্ড এবার বেঙ্গালুরুর দখলে। আর একটা ম্যাচ হারলেই দিল্লিকে টপকে আইপিএলে একটানা হারের রেকর্ডে সবার শীর্ষে পৌঁছে যাবে তারা। এখনই হারের ডবল হ্যাটট্রিক হজম করে ফেলেছেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ গ্যারি কার্সেটন। এরপর জয়ে ফিরতে না পারলে তাঁর পরিকল্পনা নিয়েও যে প্রশ্ন উঠবে তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে আর কী-ই বা বলতে পারেন বিরাট!
ঘরের মাঠে দিল্লির কাছে ৭ উইকেটে হারের পর, কোহলি বললেন, “দল নিয়ে আর কিছু বলার নেই। রোজ রোজ অজুহাত দেওয়া যায় না।” দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে, নিজেরা দায়িত্ব নাও, দলের প্রত্যেককে এই বার্তাই দিয়েছিলেন বিরাট। তবে তা কাজে আসেনি। কোনও রকম চ্যালেঞ্জের সামনেই দাঁড়াতে পারছে না চ্যালেঞ্জার্সরা। বিরাটের নেতৃত্বেও না। হতাশ বিরাট করুণ মুখে বলছেন, “দলকে এর থেকে বেশি আর কী-ই বা বলা যায়। প্রত্যেককে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছি। এখনও পর্যন্ত সেটা দেখতে পাইনি এবং এটা বাস্তব। উদ্যমী ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে আর কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না।”
প্রসঙ্গত, এদিন টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স। প্রথম ব্যাটে নেমে পার্থিবের উইকেট খুইয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বেঙ্গালুরু। বিরাট ক্রিজে থাকলেও এবিডি, স্টোয়নিসরা দীর্ঘস্থায়ী হননি। মইন আলি একটা ঝোড়ো ইনিংস (১৮ বলে ৩২) খেললেন বটে তবে রয়্যালরা দেড়শো রানও টপকাতে পারল না। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলার কাগিসো রাবাডা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়সের ৬৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে অনায়াসেই দেড়শো রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় দিল্লি। বিফলে যায় বিরাটের ৪১ রানের ইনিংসও। এই জয় স্বাভাবিক ভাবেই পন্টিং-গাঙ্গুলি জুটির কাছে তৃপ্তিদায়ক। অন্যদিকে বিরাটদের কাছে এই হার হতাশার, বেদনার এবং চিন্তার ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ১৪৯/৮
দিল্লি ক্যাপিটালস- ১৫২/৬