GT vs CSK Final: চাপ বাড়ল চেন্নাইয়ের, ১৫ ওভারে তুলতে হবে ১৭১ রান, কমল পাওয়ার প্লে-ও
IPL Final: ১৫ ওভারে ১৭১ রান তুলতে হবে বলে ওভার প্রতি ১১.৩৩ রান করে তুলতে হবে সিএসকে-কে। যার অর্থ, চাপ বাড়বে চেন্নাই ব্যাটারদের।
আমদাবাদ: বৃষ্টিতে কি কপাল পুড়বে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের? গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস হেরে গেলে সেই প্রশ্ন উঠতেও পারে। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংসের ওপর চাপ আরও বাড়ল। রাত সাড়ে এগারোটার সময় মাঠ পর্যবেক্ষণ করে আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়ে দিলেন, রান ১২.১০-এ শুরু হবে ম্য়াচ।
কমছে ওভার সংখ্যাও। পাঁচ ওভার ছেঁটে ফেলা হল ওভার সংখ্যা। চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে হবে ১৫ ওভার। পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৭১ রান।
কীভাবে চাপ বাড়ল চেন্নাইয়ের? কারণ, পুরো ম্যাচ হলে ২০ ওভারে ২১৫ রান তুলতে হতো সিএসকে-কে। হিসেব কষে দেখলে বোঝা যাবে, ওভার প্রতি দশের সামান্য বেশি রান করে তুলতে হতো ধোনিদের। কিন্তু ১৫ ওভারে ১৭১ রান তুলতে হবে বলে ওভার প্রতি ১১.৪ রান করে তুলতে হবে সিএসকে-কে। যার অর্থ, চাপ বাড়বে চেন্নাই ব্যাটারদের।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়েদের জন্য পাওয়ার প্লে-র ওভার সংখ্যাও কমছে। ৬ ওভার নয়, পাওয়ার প্লে হবে ৪ ওভারের। তাতেও সুবিধা হবে গুজরাতেরই। প্রত্যেক বোলার সর্বোচ্চ ৩ ওভার করে বল করতে পারবেন। অর্থাৎ নিয়মিত ওভার সংখ্যার চেয়ে এক ওভার করে কম বল করবেন মহম্মদ শামি, রশিদ খানরা।
মুম্বই ম্যাচের মতো বিধ্বংসী হওয়ার সুযোগ পাননি শুভমন। বাঁহাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্র জাডেজাকে (Ravindra Jadeja) দিয়ে ছক কষলেন ধোনি। জাডেজার বাইরের দিকে বেরনো বলের হদিশ না পেয়ে স্টাম্পড হলেন গিল। ২০ বলে ৩৯ রান করে। উইকেটের পিছনে ধোনির ক্ষিপ্রতা দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। ভদ্রলোকের বয়স কি সত্যিই একচল্লিশ পেরিয়েছে?
কে জানত যে, শুভমন ঝড় দানা বাঁধার আগে ফিরলেও, অজানা এক প্রতিপক্ষ আতঙ্ক তৈরি করবেন চারবারের চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে! তিনি সাই সুদর্শন। ৪৭ বলে ৯৬ রান করলেন। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন। এবারের আইপিএলের আবিষ্কার বলা হচ্ছে মাথিশা পাথিরানাকে। শ্রীলঙ্কার পেসার ডেথ ওভারে বিপজ্জনক। সেই পাথিরানার ১৪ বলে ৩৪ রান নিলেন সুদর্শন।
পাল্টা আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মাত্র ৩৯ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন বঙ্গ উইকেটকিপার-ব্যাটার। শুভমনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৪২ বলে ৬৭ রান যোগ করলেন। দ্বিতীয় উইকেটে সুদর্শনের সঙ্গে ৪২ বলে ৬৪ রান যোগ করলেন। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১২ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন হার্দিক পাণ্ড্যও। ২০ ওভারে ২১৪/৪ তুলল গুজরাত। ম্যাচ জিততে ২১৫ রান তুলতে হবে চেন্নাইকে। আইপিএলের ফাইনালে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তুলেছিল ২০৮/৭। সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল গুজরাত।